চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রকাশিত কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তিন ফরম্যাটেই ছিলেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে, আট মাসের ব্যবধানে বদলে গেল সব। অনেকটা হুট করেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। যা প্রভাব ফেলেছে তার আয়েও।
কানপুর টেস্ট শেষে কেউ ধরেছেন বাংলাদেশের বিমান, কেউ যোগ দিচ্ছেন টি-টোয়েন্টি দলে। একমাত্র সাকিব আল হাসানের পথ ভিন্ন। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার পাড়ি দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে, পরিবারের কাছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দল ঘোষণা পর্যন্ত কানপুর টেস্টই সাকিবের শেষ বলে ধরে নেয়া যায়। সাকিবের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা—শর্তের সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রতিক্রিয়া এসেছে; তাতে মনে হয় না সাকিব দেশে গিয়ে অবসর নিতে পারবেন।
টাইগারদের প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে যা বলেছেন, তাতে দেশে আশার সম্ভাবনা একবারে উড়িয়ে দেওয়াও যায় না। সবমিলিয়ে বিষয়টি আছে দোদুল্যমান অবস্থায়।
এদিকে সাকিব টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন ২০২৪ বিশ্বকাপে, কানপুর যদি শেষ টেস্ট হয় তাহলে দুই সংস্করণে সাকিব আর কেন্দ্রীয় চুক্তির অন্তর্ভুক্ত থাকছেন না। এতে বেতন কমছে অর্ধেকেরও বেশি।
বিসিবি ক্রিকেটার বেতন দিয়ে থাকে সংস্করণ অনুযায়ী ও ক্যাটাগরির ভিত্তিতে আলাদাভাবে। তিন সংস্করণে ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে আছেন সাকিব। টেস্টে তার বেতন সাড়ে ৪ লাখ, ওয়ানডেতে ৪ লাখ ও টি-টোয়েন্টিতে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। কোনো ক্রিকেটারের নাম যদি তিন সংস্করণে থাকে তাহলে ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রথম সংস্করণের শতভাগ, দ্বিতীয় সংস্করণের ৫০ ভাগ ও তৃতীয় সংস্করণের ৪০ ভাগ টাকা পেয়ে থাকেন। এই হিসেবে সাকিব প্রতি মাসে বেতন পেতেন ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া তিন সংস্করণে নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচ খেলার কোটা পূরণ করলে ক্রিকেটাররা পান বাড়তি ভাতা। এই ভাতাসহ প্রতি মাসে লাখ টাকার বেশি পেতেন সাকিব।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের কথা বলায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে চুক্তি থেকে সাকিবের নাম কাটা যাচ্ছে। সঙ্গে বন্ধ হবে দুই সংস্করণের বেতনও। টেস্ট চুক্তি থেকে সাকিব পেতেন সাড়ে ৪ লাখ আর টি-টোয়েন্টির চল্লিশ ভাগ তথা ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এই দুই সংস্করণের টাকা সাকিব আর পাবেন না। একমাত্র ওয়ানডে চুক্তির জন্য সাকিব মাসে পাবেন ৪ লাখ টাকা করে।
লম্বা সময় ধরে সাকিব বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেতনধারী ক্রিকেটার হিসেবে ছিলেন। সেই জায়গা এখন নাজমুল হোসেন শান্তর দখলে। তিন সংস্করণে এ+ ক্যাটাগরিতে থাকা শান্তর বেতন ৭ লাখ ৯০ হাজার, সঙ্গে যোগ হবে অধিনায়ক ভাতা ১ লাখ টাকা। সবমিলিয়ে বেতন-ভাতা থেকে তার আয় ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
/এমএইচআর
Leave a reply