ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট কে?

|

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে সহায়তাকারী দেশগুলোর উপর হামলার পরিধি কয়েকগুণ বাড়িয়েছে ইসরায়েল। একে একে হত্যা করছে হামাস, হিজবুল্লাহ, ইরানের বিপ্লবী গার্ডের মতো শক্তিশালী গোষ্ঠীগুলোর সদস্যদের। লেবাননে যার সর্বশেষ বলি হয়েছেন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট হতে পারে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তেল আবিবে মিসাইল হামলার পর, বিপদ আঁচ করে, খামেনিকে ইতোমধ্যে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে তেহরান। ইরানকে সর্বশান্ত করতে ইসরায়েলের টার্গেট তালিকায় আছে বিপ্লবী বাহিনীর চিফ ও প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও।

চলতি বছরের শুরু থেকেই ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারান ইসরায়েল বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর শীর্ষ কয়েকজন নেতা। এপ্রিলে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে তেলআবিবের হামলায় নিহত হন ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর কুদস ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি এবং ডেপুটি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাদি রাজি-রহিমিসহ সাত কর্মকর্তা। এ হত্যার প্রতিশোধস্বরূপ কয়েকশত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। তখনই তেহরানের এ পদক্ষেপকে বড় ভুল আখ্যা দিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তেলআবিব।

ঠিক তার পরের মাসেই রহস্যজনকভাবে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদোল্লাহিয়ানের। অভিযোগের তীর ইসরায়লের দিকে থাকলেও হামলার দায়ভার স্বীকার করেননি নেতানিয়াহু। এক মাস বাদে জুলাইয়ে ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসে ইসরায়েলের টার্গেট হামলায় নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া।

একে একে পথের কাঁটা সরিয়ে ফেলে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারই যেন ইসরায়েলের প্রধান লক্ষ্য। হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ’র মৃত্যুর পর এখন তেল আবিবের প্রধান শত্রু ৮৫ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

এদিকে হুমকি-ধামকি, লাগাতার ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরও ইসরায়েলকে বাগে আনতে অক্ষম ইরান। এ জন্য ইরানের গোয়েন্দা তৎপরতায় দুর্বলতা আর সামরিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার ঘাটতিকে দুষছেন বিশ্লেষকরা।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply