বাউফল (পটুয়াখালী) করেসপনডেন্ট:
সংস্কারের দুই সপ্তাহের মধ্যেই চতুর্থ দফায় ধসে পড়েছে পটুয়াখালীর বাউফলের আলগী নদী পাড়ের আঞ্চলিক মহাসড়ক। গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে উপজেলা সদর থেকে বাণিজ্যিক এলাকা কালিশুরি পর্যন্ত এই সড়কের পুনর্নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সড়কটির নির্মাণ কাজে দুদফায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। পুনর্নির্মাণের আগেও গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের গাজীমাঝি এলাকায় ২০০ মিটার অংশে ধস নামে।
পুনর্নির্মাণের ৯ মাসের ব্যবধানে অক্টোবরেই সেই স্থান দ্বিতীয় দফায় ধসে যায়। তখন যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পরে ধসে যাওয়া স্থান সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সড়ক বিভাগ। কিন্তু সংস্কারের মাস না পেরোতেই তৃতীয় দফায় একই স্থান ধসে পড়েছিল।
বিষয়টি নিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর আবারও প্রতিবেদন প্রকাশ করলে, পাঁচ সেপ্টেম্বরেই সেখানে সংস্কার কাজ শুরু হয়। কিন্তু এবারের সংস্কারের দুই সপ্তাহ না যেতেই চতুর্থ দফায় ধসে পড়েছে সড়কের সেই স্থান।
সরেজমিন দেখা গেছে, বানিজ্যিক কাজে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মালামাল নিয়ে ভারী ট্রাক ও পিকআপ এই সড়ক দিয়ে কালিশুরি চলাচল করে। এছাড়াও বাকেরগঞ্জ হয়ে বরিশাল জেলা শহরেও যাতায়াত করতে পথটি ব্যবহার করে বহু মানুষ। প্রতিদিন এই সড়কে ছোট বড় সহস্রাধিক যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে। ধসের ফলে সড়কের এই সরু স্থানে যান চলাচল চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। রয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রাকৃতিকভাবেই আলগী নদীর জোয়ার ভাটার স্রোত এই স্থানে আঘাত করে৷ এখানেই নদীর সবথেকে বড় বাক। প্রথম থেকেই সার্ভে করে প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করেনি সড়ক বিভাগ। এছাড়া কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগও করেছেন তারা।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জামিল আক্তার বলেন, স্থানীয়রা না বুঝে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করেছেন। আমরা চেষ্টা করেছি সড়কটি সংস্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার। সড়ক রক্ষায় কিছু জিও ব্যাগও ফেলা হয়েছে। নদী শাসন করে স্থায়ী কাজ করতে হবে। তাছাড়া, এই স্থানের সড়ক রক্ষা করা সম্ভব না।
তিনি আরও বলেন, সড়কের পুননির্মাণ কাজের সময় আমি অন্য কর্মস্থলে ছিলাম। তাই তখনকার সার্ভে রিপোর্ট সম্পর্কে আমার জানা নেই। এবার সময় নিয়ে টেকনিক্যাল টিমের মাধ্যমে যাচাইবাছাই শেষে নদী পাড়ের এ সড়কের সংস্কার কাজ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
/এমএইচ
Leave a reply