গোয়ালিয়রে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সাকিব আল হাসান পরবর্তি যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। সাকিবের অভাব দূর হতে অনেক দিন সময় লাগবে। কিন্তু সাকিব না থাকায় একাদশ গঠন থেকে শুরু করে কিছু চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে ম্যানেজমেন্টকে।
কিন্তু সাকিব না থাকার প্রভাবটা হয়তো সবচেয়ে বেশি পড়বে শেখ মেহেদির উপর। কারণ সাকিব আল হাসান ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার। তার বিকল্প হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বেধেছে বিপত্তি। মিরাজ ডান হাতি অফস্পিনার, শেখ মেহেদিও ডান হাতি অফস্পিনার। তাইতো একাদশে দুই জন্য অফ স্পিনার এক সাথে খেলার সম্ভাবনা খুব কম।
শেখ মেহেদির মূল শক্তি পাওয়ার প্লেতে বোলিং করা, এখন পযর্ন্ত বোলার হিসেবে মিরাজের চেয়ে এগিয়ে মাহেদি। কিন্তু ব্যাটিং এর কারণে নিশ্চিতভাবে মাহেদির চেয়ে মিরাজ এগিয়ে অনেকটাই। তাইতো শেখ মেহেদির বাংলাদেশ একাদশে জায়গা পাওয়াটা এখন বেশ কঠিন।
এ প্রসঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, সাকিব ভাই এতদিন ছিল, এখন একটা অ্যাডজাস্টমেন্টে সমস্যা বলব না, ১১ জন সাজাতে একটু অসুবিধা হবে। উনি দুই দিক থেকে- বোলিং ও ব্যাটিংয়ে দারুণ একটা কম্বিনেশন দিতেন। মিরাজকে দলে নিয়ে আসা হয়েছে। আশা করি, মিরাজ চেষ্টা করবে ওই জায়গাটি খুব তাড়াতাড়ি পূরণ করার।
বাংলাদেশর জার্সিতে ইতিমধ্যেই ৫০টি টি টোয়েন্ট খেলে ফেলেছন শেখ মেহেদি। তার বোলার সত্তার যোগ্যতা নিয়ে কারও সন্ধেহ নেই। কিন্তু মেহেদি যে একজন ভালো ব্যাটার সেটা হয়তো ভুলতে বসেছে অনেকে। বিপিএলে শেখ মেহেদী ওপেনিংও করেছেন। ১০৭ ইনিংসে ঘরোয়া টি টোয়েন্টিতে ১৬৪৮ রান খুলনার এই ক্রিকেটারের। স্ট্রাইকরেট ১২৫ এর বেশি। ফিফটিও আছে ৮টি। খেলতে পারেন ঝড়ো ইনিংস।
সাকিব পরবর্তি যুগে বাংলাদেশে এক মেহেদী মিরাজ ছাড় আর অলরাউন্ডার নেই। শেখ মেহেদিকে স্পেশালিস্ট বোলার না বানিয়ে, তার ব্যাটিংটা নিয়ে কাজ করলে পুরদস্তুর দ্বিতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে সার্ভিস পাওয়া সম্ভব। সাকিবের দেখানো পথে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও হাটলে, যে সেই জায়গাটা নেবার দাবিদার হতে পারেন শেখ মেহেদিও।
/আরআইএম
Leave a reply