পাকিস্তানে যাবে না ভারত, বদলে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভেন্যু!

|

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ; তিনটি ভেন্যুতে আট দলের অংশগ্রহণে হবে এই আসর। যা সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে আয়োজক পাকিস্তান। কেননা, ১৯৯৬ সালের পর প্রথম কোনো বৈশ্বিক আসরের আয়োজক হচ্ছে দেশটি। তবে পাকিস্তানের সেই আশায় পানি ঢেলে দেয়ার পথে ভারত।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম টেলিগ্রাফ তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত কোয়ালিফাই করলে সরে যাবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের ভেন্যু। ভারতের ম্যাচগুলো তখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে হবে। যদিও এসব নিয়ে সরাসরি কেউই মন্তব্য করেনি।

পাকিস্তানে ভারতীয় ক্রিকেট দল সবশেষ সফর করেছে ২০০৮ সালে। সেবার এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়া ভারত গত ১৬ বছরে প্রতিবেশী দেশে ক্রিকেট ম্যাচ খেলেনি। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভারতীয় দল বারবার পাকিস্তান সফর প্রত্যাখ্যান করছে। যার জলজ্যান্ত উদাহরণ ২০২৩ এশিয়া কাপ। পাকিস্তানে পুরোপুরি আয়োজনের কথা থাকলেও হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা দুই দেশ মিলে হয়েছে। ভারত তাদের ম্যাচগুলো খেলেছে শ্রীলঙ্কার মাঠে।

২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবে আট দল। স্বাগতিক পাকিস্তানের সঙ্গে রয়েছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের গ্রুপিং ও খসড়া সূচি আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে না জানালেও বিদেশি গণমাধ্যমে সূচি ফাঁস হয়ে গেছে কয়েক মাস আগে। প্রস্তাবিত গ্রুপ অনুসারে ‘এ’ গ্রুপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপটির অপর দল নিউজিল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্ব চলবে ২ মার্চ পর্যন্ত। ৫ ও ৬ মার্চ করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে হবে দুটি সেমিফাইনাল। লাহোরে ৯ মার্চ হওয়ার কথা ফাইনাল। 

কিন্তু পিসিবির এক সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ভারত এরই মধ্যে আইসিসির বৈঠকে পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে অপারগতা জানিয়েছে। সরকার থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া যাবে না তা জানিয়েছে তারা। এজন্য পিসিবি সেভাবেই প্রস্তুত হচ্ছে। আইসিসিও সঠিক উপায়ে পঞ্চাশ ওভারের এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের পথ খুঁজছে।

এই পরিস্থিতিতে তাই বিকল্প ভাবতে হচ্ছে আইসিসিকে। ভারত শেষ পর্যন্ত অবস্থান থেকে সরে না আসলে, আর টুর্নামেন্টের ফাইনালে পা রাখলে সেক্ষেত্রে ব্যাকআপ হিসেবে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে পারে ফাইনাল। তেমনটি হলে ফাইনালের তিন দিন আগে বদলে যাবে ভেন্যু। যা জটিলতা তৈরি করতে পারে। আর ভারত যদি সেমিফাইনালে পৌঁছায় সেক্ষেত্রেও তাদের ম্যাচগুলো পাকিস্তান থেকে সরিয়ে আবুধাবি কিংবা শাহজায় অনুষ্ঠিত হবে। যা স্বল্প সময়ের নোটিশে আয়োজন করা হতে পারে। অনেকটা সবশেষ এশিয়া কাপের মতো।

পাকিস্তানের একটি আশা বেঁচে আছে এখনও। পহেলা ডিসেম্বর আইসিসির চেয়ারম্যান পদে বসতে যাচ্ছেন জয় শাহ। দায়িত্ব নেয়ার পর পাকিস্তান সফরের কথা রয়েছে তার। পিসিবির বিশ্বাস, পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধায় আইসিসির চেয়ারম্যানকে সন্তুষ্ট করতে পারবে তারা। পিসিবির পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারতের সব ম্যাচ হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। যেখানে ভেন্যু, স্টেডিয়াম খুব নিকটে। সঙ্গে ওয়াঘা সীমান্ত কাছাকাছি থাকায় সমর্থকরাও খুব সহজে পাকিস্তানে যেতে পারবে।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply