ভারতের অন্যতম বড় ব্র্যান্ড টাটা গ্রুপ। ১৫৬ বছরের পুরনো ব্র্যান্ডিংয়ের পেছনে বড় অবদান রতন টাটার। তার সময়ে গ্রুপটির আয় বেড়েছিল ৪০ গুণ। বিশ্বের অন্যতম এই শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি রতন টাটা গতকাল বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে মুম্বাইয়ের ক্যান্ডি হাসপাতালে মারা গেছেন।
রতন টাটা ১৯৯০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৬-২০১৭ সালের দিকে কিছুদিন টাটা গ্রুপের অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষ তিনি টাটা ট্রাস্টের দায়িত্ব পালন করেছেন।
রতন টাটার বাবা নাভাল টাটা পরিবারে এসেছিলেন দত্তক সন্তান হিসেবে। নাভালের প্রথম স্ত্রী সোনির ঘরে জন্ম হয় রতন টাটার। রতন টাটার বয়স যখন ১০ বছর, তখন মা–বাবার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
এরপর থেকে রতন টাটা ও তার ছোট ভাই জিমি টাটা বড় হন তার দাদির কাছে। এই সময়ের কথা খুব একটা প্রকাশ্যে বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন না রতন। বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি মেনে নিতে পারেননি ছোট্ট দুই ভাই। তাই ছোটবেলা বেশ মানসিক কষ্ট নিয়েই বেড়ে ওঠেন তারা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে এক মার্কিন তরুণীর প্রেমে পড়েন রতন টাটা। সেটা তার পড়ার শেষদিকের ঘটনা। সেই প্রেম পরিণতি পায়নি। এরপরে ভারতে ফিরে আসেন রতন টাটা।
এরপর আরও একাধিক সম্পর্কে জড়ালেও শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি রতন টাটা। তাই জীবনের শেষদিন পর্যন্ত অবিবাহিতই থেকে গেলেন তিনি। অনেকে মনে করেন ছোটবেলা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদই রতন টাটার মধ্যে বিয়ের ভীতি তৈরি করেছে।
কুকুর খুব ভালোবাসতেন রতন টাটা। মুম্বাইতে টাটা গ্রুপের যে সদর দফতর রয়েছে, সেখানে কুকুরদের জন্য একটি আলাদা ঘর আছে। বিভিন্ন সময় রতন টাটাকে খেলতে দেখা যেত কুকুরদের সঙ্গে। রতন টাটার ইনস্টাগ্রামে তার চেয়ে কুকুরের ছবির সংখ্যা-ই বেশি!
এছাড়াও রতন টাটা ছিলেন লাইসেন্সধারী পাইলট। তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে ২০০৭ সালে এফ-১৬ ফ্যালকন মডেলের ফাইটার জেট চালান।
দানের ব্যাপারেও বেশ নামডাক আছে রতন টাটার। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৪ কোটি রুপি দান করেছেন তিনি। কেবল মহামারিকালেই বিভিন্ন খাতে বিলিয়েছেন ১ হাজার ৫০০ কোটি রুপি।
/এমএইচ
Leave a reply