এক লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়া সাত দিনের শিশু ফাতেমাকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে শিশুটিকে উদ্ধার করে মা জেসমিনের কাছে ফিরিয়ে দেয় দৌলতপুর থানা পুলিশ।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়ায় গত ১৬ নভেম্বর এক সালিশি বৈঠকে স্ত্রীকে তালাক ও সাত দিনের শিশু কন্যা ফাতেমাকে বিক্রির ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়।
মঙ্গলবার রাতে “কুষ্টিয়ায় কন্যা জন্ম দেয়ায় স্ত্রীকে তালাক, নবজাতককে বিক্রি” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে যুগান্তর। সংবাদ প্রচারের পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
দৌলতপুর থানা পুলিশের ওসি তদন্ত আজগার আলী জানান, পর পর তিন কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় স্ত্রীকে তালাক দেয় উপজেলার খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকার রবিউল ইসলাম।
একই সময় মাত্র সাত দিনের কন্যা শিশুকে নিয়ে বিক্রি করে দেয় রবিউল। এমন সংবাদ জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
সেখানে গিয়ে শিশুটিকে না পাওয়ায় থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার রাতে শিশুটিকে থানায় হাজির করে রবিউল ইসলাম। আমরা শিশুটিকে নিয়ে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করেছি। শিশুটি বর্তমানে তার মায়ের কাছে রয়েছে বলে জানান ওসি।
শিশুটির মা জেসমিন জানান, স্বামী জোর করে আমার কোল থেকে বাচ্চাকে কেড়ে নিয়ে এক লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিল। যারা আমার কোল থেকে আমার মেয়েকে কেড়ে নিয়েছিল তাদের বিচার চাই।
Leave a reply