পাকিস্তান ক্রিকেট আর ভারতীয় সিরিয়াল এই দু’টির এতো মিল আর কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে না। একের পর এক ড্রামা চলছে তো চলছেই, থামার যেনো কোনো নাম নিচ্ছে না। একদিকে মাঠের ব্যর্থতা আর অন্যদিকে মাঠের বাইরের বিতর্ক, ব্রেক ফেইল গাড়ির মতো চলছে দিক-বিদিক। আর সেই সমালোচনা আর বিতর্কের নতুন সংযোজন জাতীয় দল থেকে বাবর আজমের বাদ পড়া। যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানায় বাবরকে বাদ হয়নি, তাকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে। প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ৪৭ রানের ব্যবধানে হারে পাকিস্তান, যদিও প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রানের সংগ্রহ করেছিলো তারা। এরপর থেকেই প্রশ্ন জেগেছে পুরো সিরিজে ব্যর্থ বাবরের ফর্ম নিয়ে। পরেই সব কিছু বিবেচনায় তাকে দলের বাইরে রেখেই ইংলিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের দল ঘোষণা করে পিসিবি। সেই থেকেই সাবেকদের পাশাপাশি নেট দুনিয়াতেও সরব ক্রিকেটপ্রেমীরা।
কথায় আছে বিপদে বন্ধুর পরিচয়। বাবরের বিপদে বন্ধুর মতো পাশে দাড়িয়েছিলেন সতীর্থ ফখর জামান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টুইট করে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
ফখর জামান বলেন, বাবর আজমকে বাদ দেয়ার বিষয়টা উদ্বেগজনক। নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের সবচেয়ে সেরা খেলোয়াড় বাবর। ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের খারাপ সময়ের জন্য ভিরাট কোহলিকে বেঞ্চে বসায়নি বিসিসিআই। ওই সময় কোহলির গড় ছিল ১৯.৩৩, ২৮.২১ এবং ২৬.৫০। সেই সময়ও ভারতীয় বোর্ড কোহলির পাশে দাঁড়িয়েছে। অথচ আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেটারকে মাঠের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সতীর্থের পাশে দাড়ানোটাই কাল হলো ফখরের। তার এমন মন্তব্যের জেরে বেজায় চটেছে পিসিবি। আচরণবিধি ভেঙে বোর্ডের নীতি ও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ফখরকে শোকজ করেছে দেশটির বোর্ড। কারণ দর্শানোর এই নোটিসে কি জবাব দেবেন ফখর। সেই দিকে নজর থাকবে ক্রীড়াপ্রেমীদের।
এদিকে নেটিজেনরা বলছেন, পাকিস্তানে কোনো বাক স্বাধীনতা নেই। সতীর্থের পাশে দাঁড়ানোয় ফখরকে শোকজ দেয়ায় পিসিবির প্রতি ক্ষুব্দ হয়েছেন তারাও।
/আরআইএম
Leave a reply