আলমগীর হোসেন:
মাঠপর্যায়ে এখনও কাজ শুরু করতে পারেনি ব্যাংকিং খাত সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স। চলছে প্রস্তুতি পর্ব, যা শেষ পর্যায়ে। সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত কাজ শুরু করা দরকার বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, কাজের অগ্রগতি প্রকাশ করা উচিত। তাহলে স্বচ্ছতার পাশাপাশি আস্থা বাড়বে।
অপরদিকে, টাস্কফোর্স চায় দুর্দশাগ্রস্ত ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়নের কাজটি বিশ্বাসযোগ্যভাবে করতে। এজন্য সময় দরকার তাদের।
রাজনীতিতে পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হন ড. আহসান এইচ মনসুর। দায়িত্ব নিয়েই ব্যাংকিং খাত সংস্কারে গুরুত্ব দেন তিনি। ১১ সেপ্টেম্বর ৬ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেছেন, উনাদের (টাস্কফোর্স) কী কী প্রয়োজন, তা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। একইসাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারা কারা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টিমে কাজ করবেন, এটা ইতোমধ্যে নির্বাচন করা হয়ে গেছে। আমরা বলতে পারি, আপাতত শুরুটা হয়ে গেছে। এখন শুধুমাত্র কাজের ক্ষেত্রে প্রবেশ করা বাকি।
পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ বললেন, টাস্কফোর্স যেহেতু গঠন করা হয়েছে, সময়ক্ষেপণের আর সুযোগ নেই। কাজটি চলমান থাকবে। এটি ৬ মাসে শেষ করা যাবে না, ১-২ বছর ধরে চলবে। ধাপে ধাপে আরও বাড়াতে পারে। আগামী ৩-৬ মাসে কতটুকু কাজ হয়েছে সেগুলো তারা বলবে। এতে সবার স্পষ্ট একটা ধারণা হবে, কী চলছে এবং কী হতে যাচ্ছে। তার সাথে কাজগুলোও হতে থাকবে।
টাস্কফোর্স সদস্য ড. জাহিদ হোসেন বলেন, একটু ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ, প্রকৃত অবস্থা কেমন সেটা জানার জন্য; আর কাজটি সহজ নয়। ব্যাংকিংখাত নিরীক্ষা এমনভাবে করতে হবে, যাতে যে ফলাফল আসে সেটা বিশ্বাসযোগ্য হয়। তার ভিত্তিতে যে পদক্ষেপগুলো নেয়া হবে সেটা যেন আইনের দৃষ্টিতে যথাযথ হয়।
সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে এমন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকিংখাত নিরীক্ষা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
/এমএন
Leave a reply