প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর কিউইদের বড় স্কোরের বিপরীতে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াই চালিয়ে যায় ভারত। বেঙ্গালুরু টেস্টের চতুর্থ দিনের মাঝামাঝি পর্যন্ত স্বাগতিকদের পারফরম্যান্সে আশায় বুক বাঁধে মেন ইন ব্লু ভক্তরা। ৩ ফিফটি আর ১টি ড্যাডি সেঞ্চুরির সুবাদে ভালো লক্ষ্যের দিকে এগোয় রোহিত শর্মার দল। পান্ত আউট হবার আগ পর্যন্ত এক পর্যায়ে ভারতের স্কোর ছিলো ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৩৩ রান। তবে এরপরই ছন্দপতন, শেষ ৫ উইকেটে স্বাগতিকরা স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারে মাত্র ২৯ রান।
২৩১ রানে ৩ উইকেট, এমন স্কোর নিয়ে দিন শুরু করে ভারত। সরফরাজ খানের ব্যাট থেকে আসে ১৫০ রান। পান্তের নার্ভাস নাইন্টিনে বিদায় ভক্তদের আশাহত করেছে একটু বেশিই। ব্যক্তিগত ৯৯ রানে ও’রুকের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন পান্ত। ১ রানের জন্য মিস করেন নিজের ‘লাকি সেভেন’ টেস্ট সেঞ্চুরি।
এর সাথে আগের দিন রোহিত শর্মা-ভিরাট কোহলির করা জোড়া অর্ধশতককে সাথে নিয়ে ৪৬২ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। ৮০ ওভার শেষে আসে নতুন বল। ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের শেষটাও ওখান থেকেই। পরের ২০ ওভারে ভারতকে রীতিমত দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছে সফরকারীরা।
স্বাগতিকদের এই পুঁজি ১০৬ রানের লিড এনে দেয় কিউইদের বিপক্ষে। তিন ম্যাচ সিরিজের ১ম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের সামনে টেস্ট জয়ের জন্য দরকার এখন দরকার মাত্র ১০৭ রান। হাতে আছে টেস্টের পঞ্চম দিনের পুরো সময়। শেষ বিকেলে আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ না হলে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলার কাজ কিছুটা এগিয়ে রাখতে পারতো নিউজিল্যান্ড। ক্রিজে আছেন দুই ওপেনার টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ে।
টেস্ট ইতিহাসে এর আগে প্রথম ইনিংসে ৫০ রানের নিচে অলআউট হয়ে মাত্র একটি দলই টেস্ট জিততে পেরেছে। ১৮৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪৫ রানে অলআউট হয়েছিল ইংল্যান্ড। পরে তারা ম্যাচ জিতেছিল ১৩ রানে। তবে বেঙ্গালুরু টেস্টে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি এখন প্রায় অসম্ভব।
সবশেষ ভারত সফরে এসে সিরিজ হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। ২০২১ সালের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত সেই সিরিজে কানপুর টেস্ট ড্র হলেও মুম্বাই টেস্টে ৩৭২ রানের বড় জয় পায় স্বাগতিকরা। এর আগে দু’দলের দেখা হয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। সেবার ভারতকে হারিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের রাজদণ্ড জেতে নিউজিল্যান্ড।
/এমএইচআর
Leave a reply