২০১৪ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের। তবে শুরু থেকেই ছিলেন সাকিব আল হাসানের ছায়া হয়ে। বাঁহাতি অলরাউন্ডার কোনও ম্যাচ মিস করলে কিংবা একাদশে তিন স্পিনার খেললেই কেবল তাইজুলের ডাক পড়তো। শুধু এতটুকুই নয়, তাইজুল পারফরম্যান্স করুক আর না করুক, সংবাদ সম্মেলনে সাকিবকে কেন্দ্র করেই হতো প্রশ্ন। সোমবার (২১ অক্টোবর) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নিয়ে খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন এই স্পিনার। সব প্রশ্নেই কোনও না কোনোভাবে এসে গেলেন সাকিব!
সাংবাদিকদের প্রশ্নে বারবার সাকিব থাকায় আপত্তি নেই তাইজুলের। যা অর্জন করেছেন, তার জন্য তৃপ্ত তিনি। তবে এতো কথার মাঝেও তার কণ্ঠে ছিল বিষাদের সুর। শুরুর প্রশ্নই হলো সাকিবকে নিয়ে, ঢাকা টেস্টের একাদশে নেই যিনি। বাঁহাতি এই স্পিনার না থাকায় বাড়তি দায়িত্ব নিতে হয়েছে তাইজুলকে। সাকিব না থাকায় কীভাবে দল মানিয়ে নিয়েছে?
তাইজুলের উত্তর, ‘আপনার প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, সাকিব ভাই নাই, তাই তো? সাকিব ভাই নাই, সাকিব ভাই ছাড়া যে আমি খেলি নাই, তা তো না। আমি থাকা পর্যন্ত অনেক ম্যাচ সাকিব ভাইকে ছাড়া খেলেছি। আমরা নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জিতেছি, সাকিব ভাই ছিলেন না, আমরা যখন নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে এখানে ম্যাচ জিতছি, তখনও ছিলেন না। এরকম অনেক উদাহরণ আছে। আসলে আপনি তো একজন খেলোয়াড়কে ৫০ বছর খেলাতে পারবেন না।’
তাইজুলের উত্তরেই উঠে এলো তার সাফল্যে আরেকজনের অংশীদার হওয়ার বিরক্তি! এরপর তাকে পাল্টা প্রশ্ন করা হলো, সাকিবের মতো তারকা ক্রিকেটাররা ম্যাচ না খেললেও সেটি নিয়ে আলোচনা হয়। আপনার ক্ষেত্রে হয়তো পারফরম্যান্স করার পর আলোচনা হয়, পরে সেই আলোচনাও থেমে যায়। আপনি হয়তো এই নিয়তি মেনে নিয়েছেন, এটা কতটা কঠিন?
এর জবাবে তাইজুলের কণ্ঠে আরও বিরক্তি ফুটে ওঠে। তাইজুল বলেন, ‘আসলে আমাদের দেশে সত্যি কথা বলতে কী, অনেক কিছুই মুখে মুখে হয় আর কী। মুখে মুখে বিষয়টা হলো, অনেকে আছে খারাপ করেও তারকা হয়ে গেছে, অনেক সময় ট্রল হতে হতে তারকা হয়ে গেছে। আবার অনেক ভালো করে তারকা হতে পারেনি। এরকম অনেক হয়েছে। আমি এটা মেনে নিয়েছি। মেনে নেয়া ছাড়া কোনও উপায় নাই।’
/এনকে
Leave a reply