গণহত্যায় জড়িত ও মদদদাতাদের বিচারে কৌশলপত্র প্রণয়ন করবে অর্থনীতি সমিতি

|

জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত এবং মদদদাতা রাজনীতিবিদ, পেশাজীবীসহ সরকারি কর্মকর্তাদের বিচার করতে হবে। এ বিষয়ে একটি কৌশলপত্র প্রণয়ন করবে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।

সংগঠনটির আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি ড. আজিজুর রহমান শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। অর্থনীতি সমিতির গৌরব ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চান বলেও জানান। এ সময় ‘ড. কাজী খলীকুজ্জমান-অধ্যাপক আইনুল’ কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলন চলাকালে সংগঠনের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় ‘ড. কাজী খলীকুজ্জমান-অধ্যাপক আইনুল’ কমিটির নেতারা। আহ্বায়ক কমিটির বৈধতা নিয়ে তারা প্রশ্ন তোলেন।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ড. কাজী খলীকুজ্জামান, আবুল বারকাত, আইনুল ইসলাম, জামাল উদ্দীন সিন্ডিকেট ঐতিহ্যবাহী এই সমিতিকে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনে পরিণত করেছিল। সমিতির ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণ এবং শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক ধ্বংসের নীল নকশা প্রণয়ন করে। পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার পন্থা উদ্ভাবন, খেলাপি ঋণ আদায়ে জাতীয়ভিত্তিক কর্মকৌশল নির্ধারণের উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানান সমিতির নেতৃবৃন্দ। জাতীয় নির্বাচনকে কালো টাকার প্রভাব মুক্ত রাখার আহ্বানও জানায় তারা।

উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমানকে সভাপতি করে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাহবুব ই জামিল। 

ঘোষিত এডহক কমিটির পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছে, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির জরুরি সভা সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গত মে মাসে একতরফা ও বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ২৯ সদস্যবিশিষ্ট এডহক কমিটি ২০২৪ গঠন করা হয়।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply