রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা নাশকতার ১০ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া দেশের বিভিন্ন থানায় পুলিশ কর্তৃক দায়ের হওয়া পৃথক মামলায় প্রায় পাঁচ শতাধিক বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীর হাইকোর্টে জামিন হয়েছে।
সোমবার হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চ থেকে এরা জামিন নেন। জামিনপ্রাপ্তরা অভিযোগ করেছেন, এসব মামলার অভিযোগ ‘গায়েবি’। বাস্তবে এর সঙ্গে কোনো মিল নেই। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে এসব মামলা করেছে পুলিশ। শওকত মাহমুদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সোহরাব হোসেন।
তিনি বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন থানায় গত কয়েক মাসে শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে ১০টি নাশকতার মামলা দায়ের করে পুলিশ। সোমবার এসব মামলায় তিনি পৃথক ১০টি আবেদন করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট তাকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। এছাড়া চট্টগ্রামের পতেঙ্গ থানায় দায়ের হওয়া নাশকতার মামলায় ৮০ জন এবং কুমিল্লা দক্ষিণ সদর থানায় দায়ের হওয়া মামলায় ২৩ বিএনপি নেতাকর্মীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান জানান, ভৈরব থানায় দায়ের হওয়া নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম ও হাজী মো.শাহীনসহ ৪৬ জন নেতাকর্মীর জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান জানান, রাজধানীর দারুস সালাম থানায় দায়ের হওয়া ১৫টি নাশকতার মামলায় হানিফ পরিবহনের বর্তমান মালিক বিএনপি নেতা হাজী কফিল উদ্দিনকে ৬ সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল জানান, দোহার ও নবাবগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া পৃথক নাশকতার ৪ মামলায় বিএনপি নেতা খন্দকার আশরাফ, আব্দুর রহিম মিয়া, শাহাবুদ্দীনসহ ২৫০ জন এবং বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার ২ মামলায় ৬০ জন বিএনপি নেতাকর্মীর জামিন আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার জামিন শুনানি হতে পারে।
সিলেটের মোগলা বাজার থানার জামায়াত নেতা সাব্বির আহম্মদ জানান, ময়লার ড্রাম ভাঙচুরের অভিযোগে জামায়াতের ৩৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ একটি মামলা করে। সেই মামলায় তারা সোমবার জামিনের জন্য হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে। তিনি বলেন, মামলার অভিযোগ ‘গায়েবি’। বাস্তবে এর সঙ্গে কোনো মিল নেই। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে এসব মামলা করেছে পুলিশ।
Leave a reply