নতুন বছরে বই বিতরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা

|

নতুন বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে কাজ চলছে অবিরাম। ইতোমধ্যেই ছাপানো শুরু হয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বই। তবে নতুন বছরের প্রথম মাসে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়ার ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ ৫ম থেকে নবম শ্রেণির বই ছাপানোর টেন্ডারই হয়নি।

গুরুত্ব বিবেচনায় দশম শ্রেণির বই ছাপানোর জন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। বাকি বইগুলোর মানের বিষয়েও আপস করা হবে না বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবি। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, দশম প্রেণির পাঠ্যপুস্তক যেন সঠিক সময়ে পাওয়া যায়, এ জন্য একটি অংশ (প্রায় এক কোটি) আর্মি প্রিন্টিং প্রেসকে দেয়া হয়েছে।

পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে এ বছর পাঠ্যবই ছাপা শুরু হয়েছে প্রায় ৩ মাস পর। তারপরও এনসিটিবি চেয়ারম্যানের আশা নির্ধারিত সময়েই বই ছাপানোর কাজ শেষ করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান আশার কথা শোনালেও বাস্তবতা সুখকর নয়। অবস্থা বেগতিক দেখে বই ছাপানোর কাজ যারা করছে সেই মুদ্রণ শিল্পী সমিতির চেয়ারম্যান কিংবা সাধারণ সম্পাদক কাজের অগ্রগতির বিষয়ে কোনো কথাই বলতে রাজি নন।

আর সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো জুনায়েদউল্লা আল মাহফুজ বলেন, পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির বই ছাপানোর ওয়ার্ক অর্ডার না হওয়ায় আগামী ৬০ দিনেও সব বই ছাপানো সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সাধারণত জুলাইয়ের পর টেন্ডার শুরু হতো। আগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে আমরা কাজ শুরু করতাম। কিন্তু এবার টেন্ডার হয়েছে নভেম্বরে।

চুক্তিবদ্ধ হয়েও নির্ধারিত সময়ে কেন বই দিতে পারছেন না- এমন প্রশ্নের উত্তর ছাপাখানা মালিকরা বলেন, নির্ধারিত মানের কাগজের যোগান কম হবার কারণেই বই ছাপাতে দেরি হচ্ছে।

/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply