বল ডেলিভারির সময় একজন বোলারের দুটি পা–ই পপিং ক্রিজের ভেতরে থাকতে হয়। বাইরে গেলে সেটা ‘নো’। আবুধাবি টি–টেন লিগে স্যাম্প আর্মি দলের হযরত বিলাল এমন এক ‘নো’ বল করেছেন, তার সামনের পা ছিল পপিং ক্রিজের এক ফুটের বেশি বাইরে। এমন ‘অদ্ভূত’ ডেলিভারিতে রীতিমতো চোখ কপালে তুলেছে ক্রিকেট সমর্থকদের। অনেকে তো একে ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িত কিনা সেই প্রশ্নও তুলছেন।
শনিবার (২২ নভেম্বর) আবুধাবি টি–টেন লিগের স্যাম্প আর্মি–নিউইয়র্ক স্ট্রাইকার্স ম্যাচে এই ঘটনা ঘটে। স্যাম্প আর্মির ১৩৬ রান তাড়া করতে ব্যাটিংয়ে তখন স্ট্রাইকার্স। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে চতুর্থ বলে পাকিস্তান ব্যাটসম্যান আসিফ আলীর বিপক্ষে এক ফুটেরও বেশি পা বাইরে রেখে বল করেন বিলাল। আসিফ অবশ্য বড় কোনো শট খেলতে পারেননি, নেন এক রান। বিলালের ‘নো’ ডেলিভারিটি এতটাই অস্বাভাবিক ছিল যে মাঠে ফিল্ডিং করতে থাকা সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি হেসে দেন। ক্যামেরায় দেখা যায়, সাইডলাইনে থাকা ইংলিশ পেসার রিস টপলিও হাসছেন।
‘নো’ বল হওয়ায় পরের বল ছিল ফ্রি হিট। সোজাসুজি আসা সেই বল এক্সট্রা কাভার দিয়ে লম্বা দূরত্বের ছক্কা মারেন ডোনোভান ফেরেইরা। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত বিলালের দলই জিতেছে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে সাত ওয়ানডে খেলা এই ডানহাতি পেসারের অস্বাভাবিক ডেলিভারি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। ‘নো’ বলের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে ‘ফিক্সিং’ বলে উল্লেখও করছেন অনেকেই।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার ওয়ার্নার এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘এটা কি ফ্রি হিট ছিল?’। আবুধাবি টি–টেন লিগকে ট্যাগ করে তিনটি ইমোজিও জুড়ে দিয়েছেন ওয়ার্নার। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে দিয়েছেন ভয়ে চিৎকারের তিনটি ইমোজি।
পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির ২০১০ সালে যে স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন, সেটিতে ‘অস্বাভাবিক ঘটনা’ হিসেবে সামনে এসেছিল এ রকমই এক ‘নো’ বল। যদিও আমিরের পা বিলালের মতো এতটা বাইরে ছিল না। আবুধাবি টি–টেন লিগেরও ফিক্সিংয়ের দাগ আছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ২০২১ আসরে দুর্নীতির দায়ে পুনে ডেভিলসের ব্যাটিং কোচ আসহার জাইদি ও দলের মালিক পরাগ সাংঘাভি ও কৃষাণ কুমার চৌধুরীকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি।
/এনকে
Leave a reply