পাকিস্তানে তুমুল ধরপাকড়, কোণঠাসা হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার ইমরান খানের দলের

|

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদে আন্দোলন করে আসছিলো তার দলের নেতা-কর্মীরা। এই কর্মসূচিতে গেলো মধ্যরাতে ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এর ফলে গত তিনদিন ধরে চলা বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। খবর, দ্য ডন’র।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) পিটিআইয়ের মিডিয়া সেল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নিরস্ত্র জনগণকে হত্যার মাধ্যমে রাজধানীকে কসাইখানা বানানোর যে পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এগোচ্ছে, তার জেরেই আমরা সাময়িকভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করছি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে গত ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদ অভিমুখে রওনা দেন পিটিআইয়ের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদ অভিমুখে রওনা দেয়া পিটিআই কর্মীদের একটি গাড়ি, যেটি ধরপাকড়ের সময় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার তারা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ডি-চকে এসে পৌঁছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু করেন। এসময় পুলিশ ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্সের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় তাদের। এতে পুলিশ-রেঞ্জার্স এবং পিটিআইয়ের মোট ৬ জন নিহত হন।

ইসলামাবাদের রেড জোন এবং ডি চকে পৌঁছানোর পর পুলিশ, রেঞ্জার্স এবং সেনা সদস্যদের হাতে ব্যাপক ধরপাকড়ের শিকার হন পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা। এই ধরপাকড়ের এক পর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান এই আন্দোলন কর্মসূচির শীর্ষ দুই নেতা খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপোর এবং ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি।

পিটিআই সমর্থকদের ব্যবহৃত ধ্বংসপ্রায় একটি ট্রাক যেটি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা জ্বালিয়ে দেয়।

এক বার্তায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের রাজনৈতিক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ জানান, ইসলামাবাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে পিটিআইয়ের ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তারপরই বিক্ষোভ-কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে বিবৃতি দেয় পিটিআই।

উল্লেখ্য, তুলকালাম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্য আগে থেকেই রাজধানীতে সেনা মোতায়েন করেছিল দেশটির সরকার। পিটিআইয়ের যে কোনো কর্মী-সমর্থককে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশও দেয়া হয়েছিল। তবে সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছ, এমন সংবাদ পাওয়া যায়নি।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply