পর্যটকদের জন্য রোববার থেকে খুলছে সেন্টমার্টিনের দ্বার, লাগবে ট্রাভেল পাস

|

দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর, শুরু হচ্ছে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল। এতে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর প্রবাল এই দ্বীপটিতে ভ্রমণে যেতে পারবেন পর্যটকরা। সেন্টমার্টিনের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় পর্যটক যাতায়াত সীমিতকরণ এবং রাত্রীযাপন নিষিদ্ধ করায় গত কিছুদিন ধরে দ্বীপটি পর্যটকশূন্য। অবশেষে ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকে শুরু হচ্ছে এই রুটের জাহাজ চলাচল। ছাড়বে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া জেটিঘাট থেকে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ট্রাভেল পাস নিয়ে দিনে মাত্র দুই হাজার পর্যটক যেতে পারবেন সেন্টমার্টিনে। আপাতত ডিসেম্বর-জানুয়ারি এই দুমাস সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপন করতে পারবেন পর্যটকরা। এখন পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি পেয়েছে তিনটি জাহাজ।

কেয়ারী সিন্দাবাদ জাহাজের কক্সবাজার ইনচার্জ নুর মুহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। এক তারিখের টিকিট ইতোমধ্যে বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। আমাদের ৩৪৬ জন যাত্রী বহনের সক্ষমতা আছে। এই পরিমাণ যাত্রী না হলেও একশোর বেশি যাত্রী হলেই ইনশাআল্লাহ ওইদিন জাহাজ ছেড়ে যাবে।

এর আগে, দ্বীপটিতে যাতায়াতে সরকারি নিষেধাজ্ঞার পর থেকে সেখানে বসবাসকারিরাও পড়ছেন বিড়ম্বনায়। দেখাতে হচ্ছে আইডি কার্ড। উপার্জনও বন্ধ। এবারও পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করায় হতাশ তারা। কারণ দ্বীপের সবার জীবিকা পর্যটননির্ভর।

সেন্টমার্টিনে পর্যটক আসা যাওয়ায় সরকারি বিধিনিষেধ স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের দাবিতে প্রায় প্রতিদিনই সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ করছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের জীবন-জীবিকা পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। মাত্র দুই মাস ব্যবসা করা যাবে। এ দিয়ে কীভাবে আমরা টিকে থাকবো?

কক্সবাজার সদরের ইউএনও নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে জাহাজ চলাচল শুরু হবে। পরিবেশ রক্ষায় পর্যটকরা যাতে পলিথিন, প্লাস্টিকসহ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন বস্তু বহন না করেন সেটি জাহাজ মালিক পক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply