ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য সিরিয়া?

|

গাজা-লেবাননের পর এবার কি তবে ইসরায়েলের লক্ষ্য সিরিয়া? গত এক বছরে কয়েক দফায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকার হয়েছে সিরিয়া। লেবাননে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপরই নতুন করে দেশটিতে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। তাদের সামরিক বাহিনীর হুমকি, হিজবুল্লাহকে শক্তিশালী হতে সহায়তা করলে দেশটিকে চরম মূল্য দিতে হবে।

গাজা আর লেবাননে ইসরায়েল ভয়াবহ তাণ্ডব তো চালিয়েছেই, সিরিয়াও গত এক বছরে বেশ কয়েকবার হয়েছে তাদের লক্ষ্য। তেলআবিবের সাফাই- ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর অবস্থান লক্ষ্য করে এসব হামলা চালিয়েছে তারা।

হিজবুল্লাহ’র সাথে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগ মুহূর্তেও ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে লেবানন-সিরিয়ার মধ্যবর্তী তিনটি সীমান্ত ক্রসিং। ইসরায়েলের দাবি, এসব পথে ইরানের অস্ত্র ঢুকতো লেবাননে। হিজবুল্লাহকে সহায়তার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি সিরিয়ায় হামলার মাত্রাও বাড়িয়েছে দেশটি।

দফায় দফায় হামলা চালিয়েও শান্ত হচ্ছে না ইসরায়েল। সিরিয়াকে দিচ্ছে নানা হুমকি ধামকিও। তারা বলছে, সামরিকভাবে এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে হিজবুল্লাহ। তেলআবিবের হুঁশিয়ারি, এমন অবস্থায় যদি হিজবুল্লাহকে আবারও শক্তিশালী হতে বাশার আল আসাদ সরকার সহায়তা করে তবে সিরিয়াকে চরম মূল্য দিতে হবে।

আইডিএফ-এর মুখপাত্র রিয়ার এডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, হিজবুল্লার কাছে অস্ত্র সরবরাহের সব ধরনের প্রচেষ্টাকে রুখতে আমরা সিরিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালাবো। গোষ্ঠীটিকে অস্ত্র সরবরাহের কোনো প্রচেষ্টা যদি আমাদের নজরে আসে সাথে সাথেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। হিজবুল্লাহ’র পুনর্গঠনে সিরিয়া সহায়তা করলে মূল্য দিতে হবে তাদের।

এক যুগেরও বেশি সময়ের গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়ায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর শঙ্কা, এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল হামলা আরও জোরদার করলে দেশটিতে নেমে আসবে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply