দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল জরুরি সামরিক আইন জারির পর দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ১৯৮০’র দশকের পর এমন পরিস্থিতি দেখেনি দেশটির জনগণ। তবে সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ৩০০ সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৯০ জন সামরিক আইন প্রত্যাহারের দাবিতে একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। এর আগে বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে সামরিক আইন জারি করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল।
টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন। ভাষণে তিনি জানান, উত্তর কোরিয়ার হুমকি থেকে দেশকে রক্ষার জন্য কাজ করছেন এবং বিরোধীদের রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন।
প্রেসিডেন্টের বিস্ময়কর পদক্ষেপের কর্তৃত্ববাদী নেতাদের যুগে ফিরে গেছে দেশটি। ইয়ুনের ঘোষণার পর সামরিক বাহিনী সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে এবং সব গণমাধ্যমকে মার্শাল ল কমান্ডের নিয়ন্ত্রণে আনাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ইয়ুন বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টের বিরুদ্ধে তার এজেন্ডা চাপিয়ে দিতে লড়াই করেছেন। আগামী বছরের বাজেট বিল নিয়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সঙ্গে পিপলস পাওয়ার পার্টির টানাপোড়েন চলছিল।
Leave a reply