দেশের সার্বভৌমত্ব ইস্যুতে কাদের ‘নীরব’ বলে ইঙ্গিত করলেন আসিফ নজরুল?

|

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে গত ৫ আগস্টের পর কেটে গেছে চার মাস। এই সময়ে স্বল্প বিস্তর একাধিক ইস্যুতে বাংলাদেশের মানুষ সরব হয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন ইস্যুর পক্ষে-বিপক্ষে মত প্রকাশ করতেও দেখা গেছে সচেতন নাগরিকদের। এই তালিকায় রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার থেকে শুরু করে সংবিধান কিংবা প্রতিবেশী দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি অন্য ইস্যুও আলোচিত ছিল। আলোচনায় এসেছিল দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের আলাপ কিংবা হালের দিল্লি-ঢাকা সম্পর্কও। এবার এই আঙ্গিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে জাতীয় সঙ্গীত ও দেশের সার্বোভৌমত্বকে সমান্তরালে দাঁড় করিয়ে একটি পোস্ট আপলোড করেন আসিফ নজরুল। পোস্টে তিনি লেখেন, জাতীয় সঙ্গীত প্রসঙ্গে যারা সরব ছিলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে তাদের অনেকে নীরব কেন?

মুলত, সপ্তাহখানেক ধরে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর গত অর্ধশতাব্দীর সবচেয়ে উত্তপ্তময় অবস্থা হিসেবে মানছেন কেউ কেউ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দু’দেশের নাগরিকদের পাল্টাপাল্টি বাক্য বিনিময় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় কূটনৈতিক আলাপেও এটি দৃশ্যমান।

সম্প্রতি, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন ভবনে দুর্বৃত্তদের আক্রমণের ঘটনা ঘটে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী-বিরোধীদলীয় নেতার বক্তব্যে উঠে আসে এমন সব কথা, যা সেদেশের রাজ্য সরকারের এখতিয়ারভুক্ত নয়। একইসাথে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার অপতথ্য প্রচার কিংবা একটি ধর্মীয় সংগঠন থেকে বহিস্কৃত কর্মীকে সেই সম্প্রদায়ের মুখপাত্র বিবেচনা করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি, সবকিছু যেন একটু খেই হারিয়েছে।

এমন অবস্থায় বাংলাদেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কণ্ঠে দিল্লির পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তন ও অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বক্তব্যের সীমারেখা টানার আহ্বান যেন জোরালোভাবেই বেজে উঠেছে।

এই ব্যাপারটাকে হয়ত আসিফ নজরুল ইঙ্গিত করে থাকতে পারেন। যদিও তিনি স্পষ্ট করে বলেননি দেশের জাতীয় সঙ্গীত ইস্যুতে কারা কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ইস্যুতে সেই আগের দুই পক্ষ এখন কে কী ভূমিকায় রয়েছেন।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply