চুয়াডাঙ্গা করেসপন্ডেন্ট:
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক এমপি আলী আজগার টগরসহ ২২ জনের নামে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দর্শনা আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলার অন্যতম আসামী সাবেক এমপি টগরের ভাই দামুড়হুদা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম ও যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নান ছোট, মান্নান ও তোতা।
মামলার বাদী দর্শনার কেরু হাসপাতাল পাড়ার মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে শাহাবুদ্দীন এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কেরুর কুলি লাইন এলাকায় মিজানুর রহমানের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় বাদি শাহাবুদ্দীনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। এছাড়া পিস্তল ঠেকিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে আসামিরা। এ সময় ওই বাড়ির আসববাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। এতে প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লুট করে নেয়া হয় স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা। একপর্যায়ে লোকজনের ডাক চিৎকারে তারা বীরদর্পে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বোমা বিস্ফোরণ করতে করতে চলে যায়।
বাদী আরও উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য হওয়ায় সেসময় থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। এছাড়া দীর্ঘসময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকায় একাধিকবার মামলা দায়ের করতে গেলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মামলাটি আদালতে দায়ের করা হয়েছে।
এ মামলার অন্য আসামীরা হলেন, সাবেক এমপি টগরের ভাই ও দামুড়হুদা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম ও যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নান ছোট, কেরু হাসপাতাল পাড়ার হাফিজুল, কেরু টেডি কোয়ার্টারের কুটি বাবু, পরানপুর গ্রামের চান্দু, ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের সাইফুল ওরফে হুকুম আলী, কেরু টেডি কোয়ার্টারের ইসমাইল, ইদ্রিস আলী, আনন্দবাজারের দাউদ হোসেন, কেরু মিল পাড়ার সাহেব আলী, রঘুনাথপুর গ্রামের মুন, আনন্দবাজারের তপন, ছোটশলুয়া গ্রামের মামুন, আনোয়ারপুরের সুমন, মোবারক পাড়ার মান্নান, রেল কলোনী পাড়ার আসলাম উদ্দীন তোতা, কলেজপাড়ার পারভেজ, চরবলদিয়া গ্রামের সাইফুল মেম্বর, দক্ষিণ চাঁদপুরের সোহেল সরদার ও পুরাতন বাজারের আশরাফ আলম বাবু।
/এনকে
Leave a reply