ভূ-রাজনৈতিকভাবে টেকনাফ যদি অরক্ষিত হয়, বাংলাদেশও অরক্ষিত। টেকনাফ শুধুই একটা সীমান্ত এলাকা নয়, এটি এক্সক্লুসিভ ইকনোমিক জোন— বলছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম সুজা উদ্দিন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের টেকনাফে জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে ‘রোহিঙ্গা সংকট ও আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক মতবিনিময়ে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটি মনে করে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূ-রাজনীতি, কৌশলগত নিরাপত্তা ও মানবিক নীতিমালা নির্ধারণে কক্সবাজারের টেকনাফ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে। তাই টেকনাফের পলিসি নির্ধারণে যেন স্থানীয় মানুষের অংশীদারত্ব থাকে।
মনবিনিময় সভায় সুজা উদ্দিন আরও বলেন, শ্রমিক, দিনমজুর, লবণচাষী যেন তার নিজের কথাটা নিজে বলতে পারেন, নিজের স্বার্থ নিজে নিশ্চিত করতে পারেন, আমরা এমন রাজনীতি চাই। আমরা বাংলাদেশে তরুণ জনগোষ্ঠীর কথা বলতে চাই। আমরা পঞ্চাশ অনুর্ধ্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নির্মাণ করব।
চট্টগ্রাম রাইজিংয়ের অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক কমিটি টেকনাফ উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময়ের আয়োজন করে। জাতীয় নাগরিক কমিটি টেকনাফের সংগঠক সায়েম সিকদারের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সাবরাং উপকূলীয় রেড ক্রিসেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল্লাহ সাইফ।
নাগরিক কমিটির কক্সবাজার জেলা সংগঠক খালিদ বিন সাঈদ মাদকের বদনাম দূর করতে টেকনাফবাসীকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার আহ্বান জানান।
রোহিঙ্গা সংকটের নানবিধ সমস্যার পাশাপাশি নাফ নদীর তীরবর্তী জনপদে মিয়ানমার জান্তা ও আরাকান আর্মির মধ্যকার সংঘর্ষের কারণে নিরাপত্তাহীনতার কথা তুলে ধরেন স্কুল শিক্ষক তাসলিমা পারভীন সুমী।
/এমএন
Leave a reply