আরিফুর রহমান সবুজ:
প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে মানা হচ্ছে না ১৪ ধরনের সরকারি বিধি-নিষেধ। মধ্যরাত, পুরো দ্বীপ যখন ঘুমিয়ে, তখন সাউন্ডবক্সে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে হৈ-হুল্লোড় চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর। এতে, দেখা দিয়েছে পরিবেশ বিপর্যয় আর শব্দ দুষণের শঙ্কা।
রাতের সৈকতে জনসমাগম কিংবা হইচই-এর বিধি-নিষেধের বিষয়ে জানা আছে এই শিক্ষার্থীদের সবারই; কিন্তু কে শোনে কার কথা? এ বিষয়ে জানতে চাইলে একজন শিক্ষার্থী বলেন, মানুষ নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি টান থাকে। হয়তো আদেশ অমান্য করছি, তবে জীবনের অন্তিম সময়ে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আসা হয়েছেন। তাই, একটু শৃঙ্খলা ভঙ্গ করাই যেতে পারে।
আরেকজন শিক্ষার্থী বলেছেন, পরিবেশ উপদেষ্টা সেন্টমার্টিনের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাই, সমুদ্র সৈকতে না গিয়ে রিসোর্টে বন্ধুরা মিলে গান-বাজনা করে একটু আনন্দ করছি।
সরকারের জারি করা ১৪ ধরণের বিধি-নিষেধের মধ্যে অন্যতম, রাতে আগুন জ্বালিয়ে করা যাবে না বারবিকিউয়ের আয়োজন। কিন্তু কটেজ-রির্সোটগুলোতে অবাধে চলছে তাও। এমন হৈ-হুল্লায় রাত পেরিয়ে ভোর, দ্বীপের সূর্য যেন হাতছানি দিয়ে ডাক দিয়ে যায় সৌন্দর্যপিপাসুদের।
প্রশ্ন হচ্ছে, যে সেন্টমার্টিন তার অপার সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে অপেক্ষা করে পর্যটকদের জন্য, তা রক্ষায় কতটা সচেতন তারা। এমনকি নিষেধাজ্ঞা সত্বেও সংকটাপন্ন ছেঁড়া দ্বীপও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন শত শত ভ্রমণপিপাসু।
তবে, স্বস্তির বিষয় পর্যটক কিছুটা কম থাকায় আর প্লাস্টিক-পলিথিন একেবারে নিষিদ্ধ হওয়ায়, আগের চেয়ে বেশ পরিচ্ছন্ন দ্বীপের চারপাশের সৈকত।
/এআই
Leave a reply