২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক আসর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। ওয়ানডে বিশ্বকাপের মতোই এই টুর্নামেন্টটিও হয় ৫০ ওভারের ম্যাচ ফরম্যাটে। ফেব্রুয়ারিতে মূল টুর্নামেন্টের আগে আইসিসির উদ্যোগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঘুরে বেড়াবে কয়েকটি দেশ, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দেশে আসছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ‘ট্রফি’। কক্সবাজার ও ঢাকায় জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত থাকবে এই ট্রফি।
২০১৭ সালে শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপর প্রায় ৮ বছর কেটে গেলেও মাঠে গড়ায়নি টুর্নামেন্টটি। ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক জটিলতার নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয়েছে এই টুর্নামেন্ট।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রফির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। যা ঢাকার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই জনসাধারণ দেখতে পারবেন এই ট্রফি।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবে আট দল। স্বাগতিক পাকিস্তানের সঙ্গে রয়েছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ।
তিন কেজি এক’শ গ্রামের এ সুদৃশ্য ট্রফিটি প্রথমে নেওয়া হবে মিরপুর স্টেডিয়ামে। ট্রফির সঙ্গে ফটোসেশনে থাকবেন দেশে থাকা জাতীয় দলের সদস্য ও বোর্ডের কর্মকর্তারা। দর্শকরাও এক ঝলক দেখতে পাবেন ট্রফিটি।
‘মিনি বিশ্বকাপ’ খ্যাত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সবশেষ আয়োজিত হয়েছিল ২০১৭ সালে। লন্ডনের ওভালে সেই ফাইনালে ভারতকে ১৮০ রানে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল পাকিস্তান।
১৯৯৮ সালে ঢাকাতেই আইসিসি নকআউট ট্রফি হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল এই প্রতিযোগিতার। ২০০০ সালে কেনিয়ায় একই নামে দ্বিতীয় আসর অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ২০০২ সালে এর নাম পরিবর্তন করে করা হয় আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আসর শেষ হবার পর আইসিসির এক বৈঠকে এই টুর্নামেন্ট বাতিল ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে আইসিসি। জানানো হয় ৪ বছরের বিরতি দিয়ে পুনরায় একাধিকবার মাঠে গড়াবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ২০২৫ সালে পাকিস্তানের পর ২০২৯ সালে এটির আয়োজক ভারত।
/এমএইচআর
Leave a reply