ঝিনাইদহ করেসপনডেন্ট:
ঝিনাইদহে আদালতের নির্দেশে দাফনের দুই মাস পর সোহান (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার ১৯ মাইল কবরস্থান থেকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মেফতাহুল হাসানের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মরদেহটি উত্তোলন করে।
জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টম্বর ঢাকায় সোহানের মৃত্যু হয়। পরে ২১ সেপ্টেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়। পরে সোহানকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে ঝিনাইদহ আদালতে তার পিতা শহিদুল ইসলাম ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শরীফ মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আবেদন করলে জেলা সদর আমলি আদালতের বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
সোহানের বাবা শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে নগরবাথান গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে সাকিব (২৭)। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটনো হয়।
শহীদুল ইসলাম আরও জানান, চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সাকিব ও তার বন্ধুরা সোহানকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঢাকার ৩শ ফিটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ঘটনার দিন বিকালে সোহানকে বাড়িতে ফেরার জন্য ফোন করলে খুব ঝামেলায় রয়েছে বলে জানায় সে। এরপর সাকিবকে ফোন করলে সে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। এর কিছুক্ষণ পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয় সোহান হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে সাকিবের দুই ফুফু ডায়রি খাতুন ও আরজিনা খাতুনকে সেখানে দেখতে পান।
সোহানের পিতা শহীদুল আরও অভিযোগ করেন, সাকিবের পিতা আব্দুল আজিজ তাকে ফোন করে কোনো ঝামেলা না করার জন্য হুমকি দেন। এছাড়া, সোহান দুর্ঘটনায় মারা গেছে এমনটা পুলিশকে বলার জন্য শিখিয়ে দেন সাকিবের ফুফা আরব আলী।
স্থানীয়রা জানান, আসামি সাকিবের ফুফু ডায়রি খাতুন ও আরজিনা ঢাকায় মানুষের দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির ব্যবসা করেন। এর মাধ্যমে তারা ঢাকা ও ঝিনাইদহ শহরের একাধিক স্থানে বহুতল ভবন তৈরি ও জায়গা-জমি কিনেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহ গোয়েন্দা বিভাগের এসআই শরীফ জানান, আদালতে এ ঘটনায় নিয়ে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
/আরএইচ
Leave a reply