দেশের আলোচিত ১০টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের পাচার করা অর্থ ফেরাতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডর (এনবিআর) সমন্বয়ে একটি যৌথ অনুসন্ধানী দল গঠন করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এই অনুসন্ধানী দলটি গঠন করেছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে।
ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো বেক্সিমকো, বসুন্ধরা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, জেমকন গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, শিকদার গ্রুপ ও আরামিট গ্রুপ।
যৌথ এই অনুসন্ধানী দলটি পাচারের অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস দলটিকে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেবে। অনুসন্ধানী দলটির কার্যালয় হবে বিএফআইইউ বা বাংলাদেশ ব্যাংক। তদন্তের গোপনীয়তা রক্ষা করে এই দলটি টাস্কফোর্স এবং বিএফআইইউকে তথ্য সরবরাহ করবে। এছাড়া, যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাস খানেক পরই এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে দুদক ও সিআইডি আলাদাভাবে অনুসন্ধান শুরু করে। তদন্তে এই দশ ব্যবসায়ী গ্রুপের অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত পায় দুদক, এনবিআর, সিআইডিসহ কয়েকটি সংস্থা। তখন এসব অর্থ ফেরত আনতে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
এরপর বেক্সিমকো, বসুন্ধরা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ ও সামিট গ্রুপসহ বেশকয়েকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা চায় এনবিআর। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতরের নিবন্ধক বরাবর পাঠানো হয়। চিঠিতে আরও বলা হয়– চলমান তদন্ত অনুযায়ী, এই কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগসহ আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসন অবসানের পর সরকারি দফতরের পাশাপাশি আর্থিক খাত এবং বড় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে তৎপর হয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন।
/আরএইচ
Leave a reply