একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য হবিগঞ্জের ৪টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ৩৮ প্রার্থীর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ১২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ।
হবিগঞ্জ-১ আসনে ১২ প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ডিভিশনের ঋণ খেলাপি হওয়ায় ঐক্যফ্রন্টের (গণফোরাম) প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়ার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো ঋণখেলাপীর তালিকায় ড. রেজা কিবরিয়ার নাম থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। একই আসনে হলফনামা অসম্পূর্ণ ও স্বাক্ষর না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংরিক্ষত নারী সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাখিলকৃত ১ শতাংশ সমর্থকের স্বাক্ষর সরেজমিন যাচাইকালে একজনের স্বাক্ষর সঠিক না পাওয়ায় অধ্যাপক মোঃ আব্দুল হান্নান মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এছাড়া হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপনের কারণে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন এর প্রার্থী আবু হানিফা আহমদ হোসেন এবং হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী জুবায়ের আহমেদ ও ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী মোহাম্মদ বদরুর রেজার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।
হবিগঞ্জ-২ আসনে ১০ প্রার্থীর মধ্যে হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় বিএনপি প্রার্থী মোঃ জাকির হোসেনের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়। হবিগঞ্জ-৩ আসনে ৯ প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মাওলানা আতাউর রহমান এবং দলীয় প্রার্থীতার চিঠি না থাকায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপি প্রার্থী মোঃ আব্দুল কাদিরের মনোনয়ন পত্র বাতিল কর হয়।
হবিগঞ্জ-৪ আসনে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৩ জনের। হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপনের কারণে জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ আনছারুল হকের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। সেই সাথে হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী মৌলানা মহাম্মদ ছোলাইমান খান রাব্বানী এবং ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর প্রার্থী মোহাম্মদ আঃ মমিনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
Leave a reply