রাব্বী সিদ্দিকী:
ফাস্টফুডের ব্যবসা করে সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের শোভা সরকার। নিজ মেধা, যোগ্যতা ও পরিশ্রমে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে নিয়ে রাষ্ট্র ও সমাজের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
হিজড়া পরিচয় জানাজানি হলে বাবুর্চির চাকরিটা চলে যায় শোভা সরকারের। এখন রাজধানীর নতুনবাজারে তার ফুড কর্নারে কাজ করেন ৬ জন কর্মচারী। তাদের বেতন-খরচ দিয়ে ভালো আয় হয় শোভার।
উদ্যোক্তা শোভা সরকার বলেন, আগে বিক্রি হতো ১৫ হাজার টাকার মতো। এখন ৮-১০ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। এখানে বিক্রি ভালোই হয়। আমাদের ফুড কর্নারে যিনি বাবুর্চি তার বেতন ৩০ হাজার টাকা। তার পরের জন ২০ হাজার টাকা। আরও যারা কাজ করেন, তাদের বেতন ১৫ হাজারের কম না। সবকিছু মিলে মাস শেষ ভালো আয় থাকে। যা দিয়ে আমাদের দিনকাল ভালো চলে যায়।
তবে এখন আর মুখ লুকিয়ে কাদতে হয় না শোভা সরকারকে। আগের মতো শুনতে হয় না কারো কটুকথা। এমনকি পরিবারের কাছেও বেড়েছে তার গুরুত্ব।
শোভা সরকার বলেন, আমি খুব গর্বিত যে পরিবার থেকে এখন আমাকে মূল্যায়ন করে। অথচ আগে সেটা পেতাম না। তারা এখন আমার সফলতা দেখে খুব গর্ব করে। কারণ তাদের মেয়ে কোনো ভিক্ষাবৃত্তি করে না। কাজ করে, পরিশ্রম করে সফলতা অর্জন করেছে।
ফুডকোর্ট দিতে অর্থ সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ায় বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। শোভার স্বপ্ন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আরও দোকান খোলার। সেখানে কাজ করবেন তৃতীয় লিঙ্গের অনেকে।
তিনি আরও বলেন, শুধু বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি না আরও সংগঠন এগিয়ে আসুক আমাদের পাশে।যেন তারা ভালোভাবে কাজ করে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশটাকে উন্নয়নের সমৃদ্ধিতে এগিয়ে যেতে পারে। এটাই আমার প্রত্যাশা।
/এসআইএন
Leave a reply