ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামে ১৫ বছরের কিশোরের হাতে প্রাণ গেল ৮ বছর বয়সি শিশু মো. রিফাত হোসেনের। সে স্থানীয় চান্দলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ও মো. রিপন হোসেনের ছেলে। সোমবার রাতে রিফাতের মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এঘটনায় জড়িত ওমর আলী হায়দারকে গ্রেপ্তার করেছে সোনাগাজী থানা পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে একই বাড়ির মোমিনুল হকের ছেলে ওমর আলীর সাথে বাড়ির পাশে বক ধরতে যায় শিশু রিফাত হোসেন। সেখানে তাদের দু’জনের মধ্যে ঝগড়া কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রিফাতের গলা ছেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ওমর আলী। অবস্থা বেগতিক দেখে রিফাতকে পাশ্ববর্তী ডোবায় ফেলে দিয়ে বাড়িতে চলে যায় ওমর আলী। সন্ধ্যায় রিফাতের খোঁজ খবর না পেয়ে তার স্বজনরা খোঁজাখুজি শুরু করে। একপর্যায়ে ওমর আলীকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে জিজ্ঞেস করলে সে পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। তার কথা মতো স্থানীয় ও স্বজনরা ডোবা থেকে রিফাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পরে সেখান থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। নিহত রিফাত ও ওমর সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
রিফাত হোসেনের মামা খুরশীদ আলম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সোনাগাজী থানার ওসি তদন্ত মো. কামাল হোসেন জানান, শিশু রিফাতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওমর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a reply