স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে- এমন একটি ভুয়া খবরে ছড়িয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। কয়েকটি নামসর্বস্ব অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে খবরটি ছড়ায়। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার প্রেক্ষিতে ওই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের কয়েকজন রিটার্নিং অফিসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার মুন্সী ওয়াহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, কয়েকটি অনলাইন মিডিয়ায় গোপালগঞ্জ-৩ আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একক প্রার্থী হিসেবে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন- এমন একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা আদৌ সত্যি নয়।
তিনি জানান, ওই আসন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর বিএনপির প্রার্থী এস. এম জিলানী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ. জেড অপু শেখের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
বর্তমানে ওই আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শেখ হাসিনা ছাড়াও অন্য ৪ প্রার্থী হলেন বিএনপির এস এম আফজাল হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুহাম্মাদ মারুফ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ উজির আলী ফকির ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ এনামুল হক।
এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একক প্রার্থী নন, যে কারণে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খান সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন- এমন খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তিনি এমন সংবাদের তীব্র নিন্দা জানান।
তিনি আরও বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মস্থান। ১৯৮৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী এ আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে আসছেন। আগামী নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন।
ওই আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুহাম্মদ মারুফ জানিয়েছেন, আমার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষিত হয়েছে। কিন্তু গতকাল থেকে সামাজিক মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন- এমন একটি সংবাদ দেখে আমি আজ মঙ্গলবার রিটার্নিং অফিসারকে বিষয়টি জানিয়েছি।
শেখ মুহাম্মদ মারুফ এমন মিথ্যা খবর প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
Leave a reply