ফ্যারো দ্বীপের সমুদ্রতলের টানেলের আর্ট দেখতে হাজারো পর্যটক

|

ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জে অপ্রত্যাশিত আবহাওয়া। প্রচণ্ড বাতাস এবং বৃষ্টি। সেই সাথে ঘন কুয়াশা যা স্থির থাকে। যে কারণে দ্বীপটিতে কখনও কখনও গাড়ি বা ফেরিতে ভ্রমণকে বেশ জটিল করে তোলে। তবে এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই যে ফ্যারোরা তাদের টানেলগুলোকে খুবই পছন্দ করে।

আইসল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মাঝামাঝি দ্বীপগুলিকে সংযুক্ত করে সমুদ্রতলের টানেল। ফ্যারোরা স্থলে ১৭টি এবং সমুদ্রের নীচে চারটি টানেল তৈরি করেছে। যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বের একমাত্র টানেল, যেটি সমুদ্রের নীচে একটি গোলচত্বরসহ তৈরি করা হয়েছে। ডেনমার্ক রাজ্যের মধ্যে স্ব-শাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটিতে চলাচল সহজ করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে।

ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের মার্কেটিং ম্যানেজার সুসান্না সোরেনসেন বলেন, ‘যদিও ১৮টি দ্বীপ রয়েছে আমাদের কাছে, তাই আমরা প্রায়শই রসিকতা করে (টানেলগুলোর কারণে) এই সত্যটিকে অস্বীকার করি যে আমরা দ্বীপে থাকি।’

মূলত, আইসল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মাঝামাঝি উত্তর আটলান্টিকে অবস্থিত আগ্নেয়গিরির এই দ্বীপপুঞ্জের অক্ষত দৃশ্য দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। নতুন করে তৈরি করা সবশেষ দুটি টানেল সমুদ্রের নীচের সৌন্দর্য বর্ণনা করে।

টানেল পরিচালনাকারী কোম্পানি আইস্তুর-ওগ স্যান্ডোয়ার্টুনালারের সিইও তেতুর স্যামুয়েলসেন বলেন, ‘এগুলো আমাদের জন্য আইফেল টাওয়ার অথবা বিগ বেনের মতো। বিশেষ করে পর্যটকরা কেবল শিল্প দেখার জন্যই এগুলো ভেতর দিয়ে চলাচল করে।’

তিনি আরও বলেন, টানেলগুলো সত্যিই শিল্প। বলা যায়, শিল্প ও প্রকৌশলের এক অত্যাশ্চর্য মিলন।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply