ফরিদপুরে আওয়ামী লিগ ও বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর

|

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় বিএনপি সমর্থকদের কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে উপজেলা স্বেছাসেবক দলের সভাপতি হারুন মাতুবরের সমর্থকদের বাড়িতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আর হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা সাহিদুজ্জামান সাহিদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হামিদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ নেতা সাহিদুজ্জামান সাহিদের সমর্থকরা। তখন ওই হামলার প্রতিবাদ করে উপজেলা হারুন মাতুবরের সমর্থকরা। পরে এ নিয়ে তখনও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা সাহিদুর দুই শতাধিক সমর্থক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্বেছাসেবক দলের নেতা হারুনের সমর্থকদের বসতবাড়ি ঘিরে হামলা চালায়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। একপর্যায়ে মাঝারদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাফর ফকির, উপজেলা স্বেছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডিজু শেখ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক রুমান ও যুবদল নেতা সজিবের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় বলে জানান স্থানীয়রা।

তারা আরও জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সালথা উপজেলা স্বেছাসেবক দলের সভাপতি হারুন মাতুবর বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা। এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন তিনি।

সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাহিদুজ্জামান সাহিদ বলেন, তিনি ফরিদপুর শহরে থাকেন।আজকের হামলার ঘটনার বিষেয় তিনি কিছুই জানেন না। শুধু শুধু তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান সাকিল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

/এএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply