ভিকারুননিসার সব শাখার কার্যক্রম স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস সহ তিন শিক্ষককে তদন্ত কমিটি দোষী সাব্যস্ত করার পরপরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নেয়।
দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তদন্ত কমিটির দেয়া প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিনাত আকতার ও শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনা আত্মহত্যার ঘটনায় ভূমিকা রেখেছেন। প্রাথমিকভাবে এই তিন শিক্ষাকের এমপিও বাতিল করেছে মন্ত্রণালয়।
অভিযুক্ত শিক্ষকদের বরখাস্তের বিষয়ে গভর্নিং বডি সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তবে এতে ব্যর্থ হলে গভর্নিং বডি ভেঙে দেয়ার কথাও বলেছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। এছাড়া এই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলবে বলেও জানান তিনি।
একইসাথে জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশে ভিকারুননিসার সার্বিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হবে।
অরিত্রীর বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকলের অভিযোগ এনেছিল। এজন্য অরিত্রীর মা-বাবাকে ডেকে নেন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ।
তাদের ডেকে মেয়ের সামনেই অপমান করে বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে অরিত্রীকে নকলের অভিযোগে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া হবে। এ অপমান সইতে না পেরে বাসায় এসে অরিত্রি আত্মহত্যা করে।
পুলিশ ও পরিবারের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর শান্তিনগরে সাততলা ভবনের সপ্তম তলায় নিজ ফ্ল্যাটের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অরিত্রীকে পাওয়া যায়।
এর পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসকরা অরিত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ছাত্রীর গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। অরিত্রীর বাবা দিলীপ কুমার একজন সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী।
এই আত্মহত্যার ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কলেজে বিক্ষোভ করে আসছিলেন।
Leave a reply