৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ আর অধিনায়ক মাশরাফির বোলিংয়ে একে একে ধরাশায়ি হয় ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। মাশরাফি ৩৫ রান ও মোস্তাফিজ ৩০ রান দিয়ে তিনটি করে উইকেট নেয়। এছাড়া মিরাজ সাকিব ও রুবেল একটি করে উইকেট নেয়।
বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২০০তম ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। স্মরণীয় ম্যাচে বল হাতে আগুন ঝরালেন তিনি। বোলিং আক্রমণে দিলেন সামনে থেকে নেতৃত্ব। তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন জোগালেন সাকিব আল হাসান, রুবেল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান।
তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বেশি দূর এগোতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত ১৯৫ রান করতে সক্ষম হলো সফরকারীরা। ঠিকঠাকভাবেই নিজেদের কাজটা সেরেছেন বোলাররা। এখন ব্যাটসম্যানদের পালা।
২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে ধবলধোলাই হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সফরকারীরা। সেই টার্গেটে প্রথম ওয়ানডেতে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেন উইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল।
তবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি উইন্ডিজের। মন্থর শুরুর পর দলীয় ২৯ রানে ফেরেন কাইরন পাওয়েল। তাকে রুবেল হোসেনের ক্যাচ বানিয়ে তাদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান।
দ্বিতীয় উইকেটে ড্যারেন ব্রাভোকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন শাই হোপ। দুজনের যুগলবন্দিতে এগিয়ে যেতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। খেই হারান ব্রাভো। তাকে ফেরান মাশরাফি বিন মুর্তজা।
তবে এতে তার যতটা কৃতিত্ব, তার চেয়ে বেশি অবদান ফিল্ডার তামিম ইকবালের। ম্যাশের অফস্টাম্পের বাইরে করা স্লো ডেলিভেরি উড়িয়ে মারেন ব্রাভো। বল উড়ে চলে যাচ্ছিল লং অফ দিয়ে। সুপারম্যানের মতো উড়ে এসে অনন্য দক্ষতায় সেই ক্যাচ তালুবন্দি করেন তামিম।
ব্রাভো ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে থেকে যান হোপ। স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন তিনি। তবে সুদৃষ্টিতে তা নিতে পারেননি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০০তম ওয়ানডে খেলতে নামা ম্যাশ। ব্রাভোর পর হোপকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিরোধ ভাঙেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচে পরিণত করে তাকে সাজঘরের পথ ধরান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফেরার আগে ৫৯ বলে ৩ চারে ৪৩ রান করেন ক্যারিবীয় ওপেনার।
সেই পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষ শিবিরে আঘাত হানেন মিরাজ। বিস্ফোরক ব্যাটার শিমরন হেটমায়ারকে সরাসরি বোল্ড করে ফেরান তিনি। এতে চাপে পড়ে সফরকারীরা। এ চাপের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ফের আঘাত হানেন মাশরাফি।লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে রোভম্যান পাওয়েলকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এতে বিপর্যয়ে পড়ে অতিথিরা।
এর মধ্যে মারলন স্যামুয়েলসকে ফেরান রুবেল হোসেন। লিটনের হাতে ক্যাচ হওয়ার আগে ৪৮ বলে ২ চারে ২৫ রান করেন অভিজ্ঞ এ ব্যাটার। তিনি ফিরতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শেষদিকে কিমো পলকে নিয়ে রোবটের মতো চেষ্টা করেন রোস্টন চেজ। বেশ ভালোই এগোচ্ছিলেন তারা। তবে বাদ সাধেন মোস্তাফিজ। মিরাজের হাতবন্দি করে চেজকে ফিরিয়ে তাদের লাগাম টেনে ধরেন তিনি। কাটার মাস্টারের বলি হওয়ার আগে ৩৮ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ৩২ রান করেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার।
Leave a reply