ফরিদপুর প্রতিনিধি
ঢাকা খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরর নগরকান্দা উপজেলার গজারিয়া নামক স্থানে দুইটি যাত্রী বাহী পরিবহন ও একটি পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২ জন, আহত হয়েছেন ৩০ জন। সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এসময় প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচলা বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নড়াইল থেকে ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৯৮৩১) একটি বাস ঘটনাস্থলে এসে ইউনিলিভার কোম্পানির একটি পিকআপকে (ফরিদপুর ন ১১-০১২২) ধাক্কা দিয়ে সামনে থাকা পিরোজপুরগামী ইমাদ পরিবহনের বাস (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৪৯০৪) এর সাথে সংঘর্ষ হয়। এসময় ঈগল পরিবহন রাস্তা থেকে ছিটকে পাশের খাদে পরে যায়।
এই ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১জন, হাসপাতালে নেয়ার পরে ১ জন নিহত হয়। দুর্ঘটনায় দুই বাসের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মুকসুদপুর ও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নিহতরা হলেন, পিকাপ ভ্যানের হেলপার ভাঙ্গা উপজেলার সদরদী এলাকার আব্দুল মালেক মুন্সীর ছেলে আজিজার রহমান মুন্সী(৫৫)। অপরজন বাস যাত্রী টুঙ্গিপাড়া এলাকার বরনী গ্রামের সোলায়মান মোল্যার ছেলে হাফিজুর রহমান বাদল (৪০)। এছাড়ায় ঈগল পরিবহনের চাপায় রাস্তার পাশে থাকা একটি গরুও মারা যায়।
দুর্ঘটনার পরে এই সড়কে চলাচলকারী স্বাধীন লিংক পরিবহন (পিকাপে মডিফাই করে বানানো যাত্রীবাহী যান) বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা খালেদ হোসেন বাকী জানান, এই স্বাধীন লিংক যেখানে সেখানে দাড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করায়, রাস্তার অর্ধেকটা জুরে স্টাড বানিয়ে ফেলে, ট্রাফিক আইনের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করার কারনেই এই মহাসড়কে দিন দিন দুর্ঘটনা বাড়ছে। স্বাধীন লিংক বন্ধ হলে এই সড়কে দুর্ঘটনা কমে যাবে।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজীব হোসেন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের মুকসুদপুর ও ভাঙ্গা থেকে দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
নগরকান্দা থানার অফিসার ইন চার্জ মিজানুর রহমান জানান, দুঘর্টনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করাসহ যান চলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ।
Leave a reply