ভারতীয় স্কোয়াডে ৫ স্পিনার, অস্বস্তি প্রকাশ অশ্বিনের

|

আইসিসির যেকোনো টুর্নামেন্টের আগেই ফেভারিট থাকে ভারত। মেন ইন ব্লুদের নিয়ে তাই আলোচনা সমালোচনা চলতে থাকে সমান তালে। এবার দুয়ারে থাকা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভারত দল নিয়ে সমালোচনায় দেশটির সদ্য সাবেক স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

৬ কমপ্লিট ব্যাটার, ৪ অলরাউন্ডার, আর ৫ স্পেশালিস্ট বোলার নিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল গড়েছে টিম ইন্ডিয়া। তবে সমস্যাটা হয়েছে দলে পাঁচজন স্পিনার রাখায়। জাদেজা, আক্সার, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদ্বীপ আর বরুণ চক্রবর্তী, এই পাঁচজনকে দলে নিয়ে দুবাইয়ের মাটিতে খেলতে যাওয়ার হিসাব মেলাতে পারছেন না রবীচন্দ্রন অশ্বিন।

নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘অ্যাশ কি বাত’–এ অশ্বিন ভারতীয় দলে স্পিনারদের আধিক্য নিয়ে অশ্বিন বলেন, আমি বুঝতে পারছি না আমরা কেন এত বেশি স্পিনার দুবাইয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ৫ স্পিনারকে দলে জায়গা দিয়েছি, জয়সওয়ালকে বসিয়ে রেখেছি। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে বাইরে সফরে গেলে আমরা ৩-৪ জন স্পিনার নিয়ে যাই। কিন্তু দুবাইয়ে ৫ স্পিনার? আমি জানি না। আমার মনে হয়, দুজন না হলেও অন্তত একজন স্পিনার বেশি হয়ে গেছে।

বরুণ চক্রবর্তীকে দলে নিতে আগের ঘোষিত দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ছন্দে থাকা ওপেনার জয়সওয়ালকে। সদ্য সমাপ্ত ইংল্যান্ড সিরিজে ভালো করার ফল স্বরুপ দলে যায়গা পেয়েছেন বরুণ। তবে দুই লেগিকে একসাথে কিভাবে খেলাবেন? খেললেও সেটা কতটা কার্যকরী হবে দুবাইয়ের উইকেটে? তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

তিনি আরও বলেন, কুলদীপ ইয়াদভ তো খেলবেই। তাহলে বরুণের জন্য কীভাবে জায়গা বের করবেন? সে বোলিং ভালো করে। দুজনকে একসঙ্গে খেলানো যায়। যেটা আমার কাছে ভালোই মনে হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে দুবাইয়ে বল কি খুব বেশি টার্ন করে? কিছুদিন আগে আইএলটি-টোয়েন্টি শেষ হলো। তখন তো দুবাইয়ে বল তেমন একটা টার্ন করতে দেখলাম না। দলগুলো ১৮০ রানও খুব সহজে তাড়া করেছে। এই দল নিয়ে আমার অস্বস্তি হচ্ছে।

আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বে রোহিত-কোহলিদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের স্কোয়াডে আছে তিন স্পিনার মেহেদী মিরাজ, নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। পেসনির্ভর পাকিস্তান দলে একমাত্র নিয়মিত স্পিনার আবরার আহমেদ। আর নিউজিল্যান্ড দলে মিচেল স্যান্টনার ও মাইকেল ব্রেসওয়েল। তবে ভারত ছাড়া অন্য দলগুলো খেলবে পাকিস্তানের মাটিতেও।

উল্লেখ্য, হাইব্রিড মডেল হওয়ায় সেমিফাইনাল ও ফাইনালের ভেন্যুর পরিবর্তনও আসতে পারে এবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ভারত যদি ফাইনালে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দুবাইয়ে না হয়ে অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply