নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় টালমাটাল অবস্থার মধ্যে চলতি বছরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাতি ও দিবা শাখার প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক নোটিশে স্কুল কর্তৃপক্ষ এমন তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দুই শাখায় বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তির জন্য যারা লটারিতে নির্বাচিত হয়েছে, তাদের শনিবারের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
ভর্তির পরবর্তী তারিখ স্কুলের নোটিস বোর্ড, ওয়েবসাইট (www.vnsc.edu.bd) ও অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।
এর আগে বাবা-মাকে ডেকে অপমান করায় স্কুলটির নবম শ্রেনির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারী আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অরিত্রির মা-বাবার অভিযোগ, প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করায় তার মেয়ে দ্রুত বাসায় চলে যায়। পরে তারা গিয়ে দেখেন অরিত্রি নিজ রুমে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় আছে।
ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলেন, ওই ছাত্রী পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোনে নকল দেখে পরীক্ষা দিচ্ছিল। বিষয়টি পরিদর্শক শিক্ষক বুঝতে পেরে খাতা নিয়ে নেন। তিনি আরও বলেন, মোবাইল ফোনে পুরো বই কপি করা ছিল।
ঘটনার পর রাজধানীর পল্টন থানায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণিশিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন অরিত্রির বাবা।
এ ঘটনায় হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করা হলেও পরে জামিনে ছাড়া পান তিনি। হাসনা হেনাকে নির্দোষ দাবি করে তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও অনশন করেন স্কুলটির একদল শিক্ষার্থী।
Leave a reply