ছোলা আমদানি বেড়েছে। বিশ্ববাজারে দামও পড়তির দিকে। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে প্রভাব নেই। বরং রোজায় বাড়তি মুনাফা লুটতে অনেকে ছোলার মজুত করেছেন। বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। দোকানিরা দোষ চাপাচ্ছেন পাইকারদের ওপরে। আর পাইকাররা বলছেন, ভোক্তার পকেট কাটছেন খুচরা দোকানিরা।
গেল নভেম্বরে ১ টন ছোলা আমদানি করতে দরকার হতো ৮০০ থেকে ৯০০ ডলার। আর এখন ৬৫০ থেকে ৭০০ ডলার দিয়ে ১ টন ছোলা আমদানি করা হচ্ছে। রাজস্ব পরিশোধ, ব্যবসার খরচ ও মুনাফা বিবেচনায় নিলে ১ কেজি ছোলার দাম হওয়ার কথা ৮৫ খেকে ৯০ টাকা। কিন্তু পাইকারি পর্যায়ে সেই ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়। খুচরা দোকানে দাম পড়ছে ১২০ টাকা।
রোজায় ছোলার চাহিদা বাড়ে। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে, অনেকে ছোলার বাজারে মজুত গড়ে তুলছেন। রাজধানীর মৌলভীবাজারে, পাইকারী পর্যায়ে সাধারণ মানের ছোলার দাম ৯৫ টাকা আর ভালো মানের ছোলা বিক্রি ১০০ থেকে ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গেল রোজার সময় প্রতি টন ৬৮০ ডলার দরে আমদানি করা ছোলা খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।
পর্যাপ্ত আমদানি হলেও খুচরা দোকানে দামে প্রভাব পড়েনি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। পাইকারি পর্যায়ে বাড়তি দামকে দুষছেন, দোকানীরা।
ক্রেতারা বলছেন, ছোলার দাম বেড়েই চলছে। বাজারে তদারকি না থাকার সুযোগ নিচ্ছেন অনেক ব্যবসায়ী। রোজার মাসে ছোলার চাহিদা ৭০ হাজার টন।
/এটিএম
Leave a reply