হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের পছন্দ সিংহ প্রতীক। তিনি বুধবার বগুড়া জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রতীক নেয়ার পর প্রচারণা শুরু করবেন।
মঙ্গলবার বিকালে হিরো আলম জানান, তিনি সকালে ঢাকার হাইকোর্টের মাজার জিয়ারত করেছেন। বুধবার বগুড়ায় ফিরে প্রথমে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পছন্দের সিংহ প্রতীক নেবেন। এরপর নন্দীগ্রাম উপজেলা ও পরে কাহালু উপজেলায় মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন।
তিনি জানান, তাকে নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। মিথ্যা অজুহাতে রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা বাতিল করেছিল। তিনি হাইকোর্টে গিয়ে সুবিচার পেয়েছেন। তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেয়ায় তিনি বিচারপতি, মিডিয়াকর্মী ও সমর্থকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
হিরো আলম বলেন, তিনি ঢাকাতে অবস্থান করায় সমর্থকরা সবসময় ফোন করছেন। নন্দীগ্রাম উপজেলা যুব সংহতির সভাপতি কামাল পাশাসহ বিভিন্ন এলাকার সমর্থকরা গত দু’দিন ধরে মিষ্টি বিতরণ করেছেন। তিনি প্রার্থী হওয়ায় তরুণ সমাজের মাঝে সাড়া জেগেছে। তার বিশ্বাস নির্বাচনে ভালো কিছু করবেন।
নন্দীগ্রাম উপজেলার বাদলাসন গ্রামের আবদুল হান্নান, কাথম গ্রামের আরিফ হোসেন, নন্দীগ্রাম সদরের রাব্বি হোসেন প্রমুখ জানান, হিরো আলম প্রার্থী হওয়ায় জনগণের মাঝে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। হোটেল-রেস্তরাঁয় তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
তারা আরও বলেন, এ আসনে মূলত বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। কাহালু উপজেলার তানসেন আলম, মোসাদ্দেক আলী, বাজার এলাকায় সুশান্ত কুমার প্রমুখ জানান, হিরো আলম প্রার্থী হওয়ায় অনেকে তাকে নিয়ে মজা করছেন। এলাকায় এলে তার সঙ্গে সেলফি তোলেন। এছাড়া ইউটিউবে হিরো আলমের ছবি দেখার হিড়িক পড়েছে।
Leave a reply