প্রাসাদে ঢুকে স্বর্ণের কমোড চুরি! তাও আবার বিখ্যাত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার উইনস্টন চার্চিলের জন্মস্থান থেকে। ‘আমেরিকা’ নামের ওই স্বর্ণের কমোডের বাজারমূল্য ছিল ৬ মিলিয়ন ডলার। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থা এপি এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাল ২০১৯। ভোরের আলো ফোটার ঠিক আগমুহূর্ত। ব্লেইনহেইম প্রাসাদের কাঠের দরজা ভেঙে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার উইনস্টন চার্চিলের জন্মস্থানে প্রবেশ করে দু’টি গাড়ি। যাতে ছিল পাঁচ আরোহী।
লনের মাঝ দিয়ে দ্রুতগতিতে পার হয়ে সরাসরি ভবনের সামনে থামে গাড়ি দু’টি। হাতুড়ি-শাবলসহ বের হয় একের পর এক পাঁচ চোর। প্রাসাদের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তারা। উদ্দেশ্য-স্বর্ণে মোড়ানো শিল্পকর্ম চুরি করা।
ঠিক পাঁচ মিনিটের মধ্যেই গাড়ির কাছে ফিরে আসে দুর্বৃত্তরা। হাতে দেখা যায় টয়লেটের বিভিন্ন খণ্ডিত অংশ। যার মধ্যে ছিল ৯৮ কেজি ওজনের একটি স্বর্ণের কমোড। চুরি করা জিনিসগুলো গাড়িতে করে নিয়ে পালায় তারা।
বিবিসির খবর অনুযায়ী, নর্থাম্পটনশায়ারের ওয়েলিংবোরোর একজন ৪০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে ওই কমোড চুরির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তার নাম জেমস শিন। তিনি পাঁচজনের মধ্যে ছিলেন, যারা ব্লেনহাইম প্যালেস থেকে স্বর্ণের কমেড চুরি করেছে।
এ ঘটনার পুরোটাই ধরা পড়ে সিসি ক্যামেরায়। পরে, গাড়ি দু’টিকে ট্র্যাক করে আটক করা হয় ঐ দুর্বৃত্তদের। শুরু হয় বিচারকাজ; যা এখনও চলমান।
পুলিশের ধারণা- চুরির পর স্বর্ণের কমোডকে টুকরো টুকরো করে বিক্রি করা হয় স্বর্ণকারদের কাছে। মূলত, শিল্পকর্ম হিসেবে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণে মোড়ানো আমেরিকা নামের ঐ কমোডটি তৈরি করেন ইতালিয়ান শিল্পী মাউরিজিও ক্যাটেলান। যা প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয় অষ্টাদশ শতাব্দীর ঐ প্রাসাদে।
তবে, মজার বিষয় হলো- শিল্পকর্ম হলেও আদতে স্বর্ণের কমোডটি ছিলো পুরোপুরি সচল। ছয় বছর আগে ঘটে যাওয়া ঐ ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এতোদিনে প্রকাশ করা হয়েছে, জুরি বোর্ডের আদেশে। এরপরই, তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
প্রসঙ্গত, যারা প্রাসাদ পরিদর্শন করতে যেতেন তাদেরকে এটি ব্যবহার করতে আমন্ত্রণ জানানো হতো। সেখানে যাতে লম্বা লাইন তৈরি হয়ে না যায় সেজন্য প্রত্যেককে সর্বোচ্চ তিন মিনিট করে সময় দেয়া হতো।
/এআই
Leave a reply