কুমিল্লায় ৫ গরু লুটের ঘটনায় এখনও আটক হয়নি কেউ

|

কুমিল্লা ব্যুরো:

কুমিল্লার একটি গরুর খামারে ঘুমন্ত দুই কর্মচারীকে মারধর ও দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ৫টি গরু লুটে নেয় মুখোশ পরিহিত ডাকাতরা। লুট হওয়া গরুগুলোর মূল্য প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন খামার মালিক।

গত ১ মার্চ গভীর রাতে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের বসন্তপুর এলাকার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় খামারের মালিক বসন্তপুর গ্রামের মো. হানিফ মিয়া বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে গতকাল বুধবার (৫ মার্চ) সকাল থেকে ডাকাতির ঘটনার ৬.৪৩ মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হতে থাকে।

খামারের মালিক মো. হানিফ মিয়া সাংবাদিকদের জানান, তিনি একজন মাংস ব্যবসায়ী। নিজের গরুর খামারে গরুগুলো রেখে বসন্তপুর বাজারে জবাই করে মাংস বিক্রি করেন। গত ১ মার্চ রাতে খামারের দুই কর্মচারী ইদ্রিস মিয়া ও মো. রানা খাবার খেয়ে খামারে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত তিনটার দিকে একদল ডাকাত খামারে প্রবেশ করে খাটে শুয়ে থাকা ওই দুই কর্মচারীকে মারধর করে তাদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে খামারে থাকা ৭টি গরুর মধ্যে একে একে তারা প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা মূল্যের ৫টি গরু লুটে নিয়ে যায়।

ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গামছা দিয়ে মাথা বাঁধা একজন সশস্ত্র ডাকাত প্রথমে খামারটিতে প্রবেশ করে খামারের শেষ অংশ থেকে একটি গরু টেনে বের করছেন। এসময় খামারে প্রবেশ করেন গামছা দিয়ে মুখ মোড়ানো আরও দুই ডাকাত। এসময় খামারে থাকার ঘরের খাটের ওপর মশারির নীচ থেকে বয়োবৃদ্ধ লোক বের হতে চেষ্টা করলে তাকে দেশীয় অস্ত্র হাতে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে ডাকাতরা। পরে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। পরে একে একে আরও ৪টি গরু নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

ঘটনার পরদিন চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন খামারের মালিক হানিফ মিয়া। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন জানান, খামারের মালিকের দায়ের করা মামলার তদন্ত চলছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply