এখনও ভোজ্যতেলের সংকট কাটেনি। দোকানীরা বলছেন, যোগান কমে আসার নেপথ্যে রয়েছে মিলার-ডিলার সিন্ডিকেট। কোথাও কোথাও মিললেও ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। জুড়ে দেয়া হচ্ছে অন্য পণ্য কেনার শর্ত। মাংসের দাম কমতে শুরু করলেও উত্তাপ বেড়েছে মাছের বাজারে। ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ শসা, লেবুর দামও ঊর্ধ্বমুখী। অপরিবর্তিত রয়েছে আলু ও পেঁয়াজসহ কিছু সবজি ও মশলার দাম।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজধানীর বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
খেজুর, ভোজ্যতেলসহ কিছু পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। তবে সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। এবারের রোজায় গত বছরের তুলনায় সয়াবিন তেল আমদানি বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। তার পরও দূর হচ্ছে না সংকট।
রমজান মাসে মাছের চাহিদা কমেছে। কিন্তু দামে এর কোন প্রভাব নেই। বরং উল্টো চিত্র। গত সপ্তাহের তুলনায় বেশিরভাগ মাছের দামে কেজিতে ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। বিক্রেতাদের দাবী, ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায়, সাগরের মাছের যোগন কমেছে। আকারভেদে ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা কেজির নীচে মিলছে না চিংড়ি মাছ। আইড়-বোয়ালসহ বিভিন্ন নদ-নদীর মাছের জন্য দিতে হবে ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা কেজি। আকারভেদে চাষের রুই-কাতলা মিলছে সাড়ে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা কেজিতে।
দাম কমেছে গরু ও খাসির মাংসের। রোজার আগে হঠাৎ করে চড়ে যাওয়া খাসির মাংসের দাম কেজিতে ২শ’ টাকা কমে মিলছে ১১শ’ টাকায়। একই চিত্র গরুর মাংসের দোকানেও। কেজিতে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭শ’ টাকা কেজিতে।
অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির বাজারের দর। ব্রয়লার মুরগির জন্য দিতে হবে ২শ’ টাকা কেজি। আর লেয়ারের জন্য গুণতে হবে ৩শ’ টাকা।
ছোলার দামও কেজিতে ১৫ টাকার মতো কমে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। মানভেদে প্রতি কেজি চিড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আখের গুড় ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, খেজুরের গুড় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ও মুড়ি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আগের চড়া দরেই স্থিতিশীল মিনিকেট ও নাজিরশাইলের দাম। ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারত থেকে আমদানির প্রভাব পড়েনি বাজারে। কেননা যৌক্তিক দামে একই মানের চাল আনা যায়নি।
শীতকালীন মৌসুমি সবজিও শেষের পথে। বাজারে ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, ক্ষীরা ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, পটল ১২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। ফুল কপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বাধা কপি ৩০, গাজর প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। জালি কুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ভালো লেবু প্রতি হালি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় এবং ধনেপাতা প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
/এমএইচআর
Leave a reply