নোয়াখালী ও ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের দুই কর্মীকে বিএনপি হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের নির্বাচনী প্রচার সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি এই সভার আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মঙ্গলবার যে দুটি হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেটি বিএনপি করেছে। এটার প্রমাণ আমাদের হাতে আছে, এটা কোনো সাজানো-বানানো কথা নয়। এরপরও আজকে আপনারা (বিএনপি) বলছেন, সারা দেশে অত্যাচার নিপীড়ন চলছে।
তিনি আরও বলেন, পল্টনে যে নারকীয় তাণ্ডব তারা শুরু করেছিল, সেটা এখনও তারা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে পাঁচবালিয়া ইউনিয়নে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, হানিফ নামের যুবলীগের এক কর্মীকে প্রথমে চোখের মধ্যে মরিচের গুঁড়া দিয়েছে, এরপর ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দিয়েছে, এরপর গুলি করে তাকে স্পটে হত্যা করেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিএনপি আবারও প্রমাণ করল তারা সন্ত্রাসী দল। কানাডার আদালত ভুল কোনও রায় দেয়নি।
বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ পথে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিজেরা গোলমাল করে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ দেবেন না। আজকে রাজনীতি কোথায় গেছে? কামাল হোসেন সাহেব তারেক জিয়ার নির্দেশে চলেন। মোস্তফা মহসিন মন্টু, মান্নান সুলতান, এদের মতো নেতা আজ তারেক জিয়ার নাটাইয়ের টানে চলে। লন্ডন থেকে রশি টানে, আর লন্ডন থেকে রশি ছাড়ে।
তিনি বলেন, কেউ কেউ মতলবে আছেন, একসময় এই অজুহাত, ওই অজুহাত দিয়ে বলবেন, নির্বাচনের পরিবেশ নেই। পরাজয় যে কত শোচনীয় হবে, সেটা টের পাবেন। বহু আসনে ২০০৮ সাল থেকেও খারাপ অবস্থা হবে। সেই শোচনীয় পরাজয়ের জন্য অপেক্ষা করুন।
নির্বাচনী প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি এমন চ্যালেঞ্জ রেখে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি কোনও সরকারি গাড়ি ব্যবহার করি না। নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে আমার গাড়ির পতাকা নামিয়ে দেয়া হয়েছে। একজন মন্ত্রী হিসেবে ও একটি দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যে নিরাপত্তা প্রহরী থাকার কথা, সেই হিসেবে আমার সঙ্গে কিছু পুলিশ থাকে। মওদুদ সাহেবের সঙ্গেও পুলিশ আছে, এটা তার নিরাপত্তার জন্য।
তিনি আরও বলেন, আমি গত তিন-চার দিন ঢাকায় ছিলাম না। ফেনী, কুমিল্লা এবং আমার নির্বাচনী এলাকায় গিয়েছিলাম। আমি শুধু আপনাদের এতটুকু বলতে পারি, যা সত্য নয় তা প্রচার করে লাভ নেই। ৩০ তারিখ তো আমরা চাপা দিতে পারব না। যখন ফলাফল বের হবে তখনই বোঝা যাবে।
নিজ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই যে মওদুদ আহমদ সাহেব বড় বড় কথা বলেন, তিনি গত পাঁচ বছরেও নির্বাচনী এলাকায় যাননি। এখন নির্বাচনের কারণে তিনি যাচ্ছেন, এ জন্য তাকে স্বাগত জানাই। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী না হলে তো নির্বাচন জমবে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হলে নির্বাচন কিসের? উনি কিন্তু জমাতে পারছেন না। বিএনপির ভাঙা হাট কোথাও জমছে না।
Leave a reply