ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অষ্টাদশ আসর শুরু হয়েছে গতকাল। শনিবার (২২ মার্চ) কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আর সেই ম্যাচেই সুনিল নারিনের অদ্ভুদ এক কাণ্ডে শুরু হয়েছে হইচই। সুনিলের ব্যাট স্ট্যাম্পে লাগলেও কেন তাকে আউট ঘোষণা করলেন না আম্পায়ার— এমন প্রশ্নও উঠেছে। এক্ষেত্রে ক্রিকেটীয় আইন কী বলে?
এই প্রশ্নের উত্তর আছে ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) ৩৫.১.১.২ থেকে ৩৫.১.১.৪ ধারায়।
কলকাতার ইনিংসের অষ্টম ওভারের ঘটনা এটি। শট লেংথের এবং অফ স্টাম্পের বাইরে করা রাসিখ সালামের ওভারের চতুর্থ বলটা একপ্রকার ছেড়েই দেন সুনিল। ফলে, বল চলে যায় উইকেটকিপারের হাতে। বলটিকে ওয়াইড সিগন্যালও দেন লেগ আম্পায়ার। ঠিক তখনই নারিনের ব্যাট স্টাম্পে লাগলে একটি বেল পড়ে যায়। সেইসাথে জ্বলে ওঠে স্টাম্প ও বেলের জিং লাইটও।
বেঙ্গালুরুর বেশির ভাগ ফিল্ডারের তা দৃষ্টিগোচর হয়নি। কিন্তু টিম ডেভিড ও ভিরাট কোহলি ব্যাপারটি টের পেয়ে হিট আউটের জন্য মৃদু আবেদন করেন। কিন্তু আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি।
মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) ৩৫.১.১.২ থেকে ৩৫.১.১.৪ ধারায় বলা আছে, একজন ব্যাটসম্যান তখনই হিট আউট হবেন, যখন তিনি প্রথম রান নেয়ার জন্য দৌড় শুরু করতে গিয়ে উইকেট ভাঙবেন অথবা বল ছেড়ে দেওয়ার পর তৎক্ষণাৎ উইকেট ভাঙবেন অথবা বলকে স্টাম্পে লাগা থেকে বাঁচাতে গিয়ে উইকেট ভাঙবেন। কিন্তু নারিন কোনো ধারা ভঙ্গ না করায় এবং ব্যাট স্টাম্পে লাগার আগে বল উইকেটকিপারের হতে চলে গিয়ে ডেড হয়ে যাওয়ায় তাকে আউট দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ সেই বল ব্যাটারের খেলার উপযুক্ত সময়কে অতিক্রম করে গেছে।
অবশ্য, এর উল্টো ঘটনাও ঘটেছে ক্রিকেটে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ব্যাটার ব্রেন্ডন টেলর এরকম একটি ঘটনায় আউট হয়েছিলেন। তবে সেবারের প্রেক্ষাপট ছিল একটু আলাদা। এমসিসির আইন অনুযায়ী যে ব্যাখা দেয়া হয়েছিল, তা অনেকটা এরকম, বলটি ডেড হয়েছে কি না— সেই সিদ্ধান্ত একান্তই আম্পায়ারের। ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বলটি ডেড পর্যায়ে অতিক্রান্ত সময়ের আগেই টেলরের ব্যাট স্ট্যাম্পে আঘাত করায় তাকে সাজঘরে ফিরতে হয়েছিল।
/এমএইচআর
Leave a reply