যুগের পথে যমুনা টেলিভিশন

|

মাহমুদুল হাসান ইমন

মানুষের অগাধ বিশ্বাস আর ভালোবাসায় ১১ বছর পার করলো যমুনা টেলিভিশন। পা রাখলো বারো বছরে। নিরপেক্ষ ও নির্ভুল তথ্য দর্শকের কাছে পৌঁছে দেয়ার স্বপ্ন সামনে রেখে ২০১৪ সালের এই দিনে যাত্রা শুরু করে যমুনা টিভি। ‘সামনে থাকে ও সামনে রাখে’ এই স্লোগানের স্বার্থকতা নিয়েই দর্শকের ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণায় অবিরাম ছুটে চলছে যমুনা।

দেশ-বিদেশের প্রতিটি সংবাদ সবার আগে জনগণের কাছে পৌঁছে দেবার অঙ্গীকার নিয়ে সব দিক ও মতের বক্তব্য আর নির্ভরযোগ্য তথ্যের মিশেলে যমুনা হতে চেয়েছে গণমানুষের।

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই তারা এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত স্বাধীন গণমাধ্যম যখন মানুষের কাছে সত্য ও নির্ভুল তথ্য পৌঁছে দিতে পারে তখনই গড়ে ওঠে জনমত, প্রভাবিত হয় জনগণ, জড়িয়ে নেয় ভালোবাসায়।

এগারো বছরের এই পথপরিক্রমায় যমুনা টিভির অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি নিয়ে তুমুল আলোচনা নতুন এক ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়েছে। 

এই ক’বছরে যমুনার জনপ্রিয়তা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে দায়িত্বশীলতাও। টিম যমুনার আন্তরিকতা আর সত্য সাংবাদিকতার স্বীকৃতিও মিলেছে নানাভাবে।

ইউটিউব-ফেসবুকের ডিজিটাল দুনিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ সাবস্ক্রাইবার যেনো তারই প্রমাণ। এছাড়াও মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জরিপ সংস্থা সোশ্যাল ব্লেডের র‍্যাংকিংয়েও যমুনা টিভি পেছনে ফেলেছে বিবিসি, আলজাজিরা, সিএনএন, ফক্স নিউজ, এনবিসি, ফোর্বস ব্রেকিং নিউজ ও এবিসির মতো চ্যানেলকে, পৌঁছেছিলো সংবাদভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেলের বিশ্ব চূড়ায়। মিথ্যা, প্রোপাগান্ডা ও ভুল তথ্যের ভিড়ে এতে যেন আরও বেশি সতর্ক আর দায়িত্বশীল যমুনা টেলিভিশন।

চব্বিশের দিকেই নজর দেয়া যাক। নির্বাচনের পর দেশে ঘটে গণঅভ্যুত্থান, দেখা মেলে একটি চ্যানেলকে ঘিরে স্লোগানে স্লোগানে উচ্ছ্বাসের প্রকাশ। কেবল একটি গণমাধ্যম ঘিরে রাজপথে মানুষের এমন আনন্দ উদযাপন, দেশ তো বটেই পৃথিবীর ইতিহাসেও বিরল! এ বছরেই এমন দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছে যমুনা টিভির কর্মীরা। দায়িত্বশীলতার সঙ্গে, নাগরিকের পাশে থাকার বিনয়ী চেষ্টাই যমুনা টেলিভিশনকে এনে দিয়েছে এমন ভালোবাসা।

শুরু থেকেই আধুনিক সাংবাদিকতা, সত্য আর তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করা ছিল যমুনা টিভির লক্ষ্য। সংবাদ কর্মীদের মেধা আর শ্রমের সাথে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সংমিশ্রণে হাঁটি হাঁটি পায়ে ১১ বছর পেরিয়ে আজ ১২’তে আপনাদেরই যমুনা। সব দল-মতের বিপুল আকাঙ্ক্ষা পূরণই যুগের পথে যমুনার লক্ষ্য।

চারদিকে যমুনার এতো এতো জয়ধ্বনি আমাদের স্বস্তি দেয় না। যমুনা টেলিভিশন শুধু পর্দার একটি টেলিভিশন হতে চায় না। হতে চায় না ড্রয়িংরুমের সেই বোকা বাক্স। ফুরফুরে হাওয়ায় উড়তে পারে না টিম যমুনা।

দায়বদ্ধতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। নির্ভুল তথ্য পৌঁছে দেয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রতিটি সেকেন্ডের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলছে যমুনা টিভি। কেন্দ্র থেকে প্রান্তের মানুষকে রাষ্ট্রের সুনাগরিক হয়ে ওঠার জন্য, তার অধিকার সচেতন করে তোলার জন্য, সাংবাদিকতার সবটুকু করতে প্রস্তুত টিম যমুনা। সততার পরিবর্তে পাওয়া মানুষের ভালোবাসার শক্তিতেই দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলবে টিম যমুনা। সেই প্রতিশ্রুতি, সেই প্রত্যাশা।

/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply