দর্শকের ভালোবাসা, আস্থা ও বিশ্বাসে ১১ বছর কাটিয়ে দিলো বাংলাদেশের যমুনা টেলিভিশন। গৌরবের এই বর্ষপূর্তি আনুষ্ঠানিকতা আর উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে উদযাপন করছে টিম যমুনা।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই যমুনা টেলিভিশনের প্রধান কার্যালয়ে সহকর্মীরা আনন্দঘন পরিবেশে নিজেদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। কাজের ফাঁকে হাসি-আড্ডা আর ছবি তোলার মধ্য দিয়ে দিনটি স্মরণীয় করে রাখেন তারা। এসেছিলেন সাবেক সহকর্মীরাও। সবার কণ্ঠেই ছিল যমুনার জন্য শুভকামনা।
এগারো পেরিয়ে ১২-এর পথে যাত্রায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে যমুনায় হাজির হন শুভানুধ্যায়ীরা। তাদের মধ্যে কেউ কেউ যমুনার সাথে নিজের স্মৃতির গল্প মেলে ধরেন।
বিকেলে বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে যমুনা টেলিভিশনের নীতিনির্ধারকরা বলেন, নানা চ্যালেঞ্জ আর প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেছে যমুনা টেলিভিশন। দর্শকদের কাছে সব সময় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পৌঁছানো যমুনা টেলিভিশনের অঙ্গীকার।
যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহিম আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, আমার মনে হয় না পৃথিবীতে এমন কোনো বিপ্লব হয়েছে, যেখানে একটি নির্দিষ্ট গণমাধ্যমকে নিয়ে স্লোগান দেয়া হয়েছে। গণমানুষের মুখে যমুনার স্লোগান— আমরা জীবনের সেরা অর্জনগুলোর একটি মনে করি। দর্শকের এই ভালোবাসা পেয়ে আমরা আপ্লুত।
প্রধান বার্তা সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম জানান, টিম যমুনা ভালো করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যে কোনো পরিস্থিতিতে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে যমুনা টেলিভিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যমুনা টিভির প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর রোকসানা আনজুমান নিকোল বলেছেন, যা সত্য আমরা তাই প্রকাশ করি। আমরা কোনো দল মত বা পক্ষের হয়ে কাজ করি না। যমুনা টেলিভিশন সত্যের পক্ষে কাজ করে।
যমুনা গ্রুপের পরিচালক ড. আলমগীর আলম, দৈনিক যুগান্তরের উপ-সম্পাদক বি এম জাহাঙ্গীরসহ অনেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন । এ সময় তারা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের জন্য যমুনা টেলিভিশনকে ধন্যবাদ জানান।
যমুনা টেলিভিশন ২০১৪ সালে ৫ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ‘সামনে থাকে, সামনে রাখে’ স্লোগানে দেশের সংবাদভিত্তিক শীর্ষ চ্যানেলটি পা রাখলো ১২তম বর্ষে।
/এএস/এমএন
Leave a reply