লেখক, কলামিস্ট, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও পরিবেশবিদ মাহফুজ উল্লাহর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে তিনি এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। ১৯৫০ সালের ১০ মার্চ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের গোপালপুরে জন্ম নেয়া এই সাংবাদিক দীর্ঘ কর্মজীবনে দেশের নেতৃস্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি শিক্ষকতাও করেছেন মাহফুজ উল্লাহ। কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন তিনি। পরে তিনি বুদ্ধিজীবী হিসেবে খ্যাতি পান। বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন অর্ধশতাধিক বই।
নির্ভিক ও সাহসী সাংবাদিক ছিলেন মাহফুজউল্লাহ। মতবিরোধ ও মতপার্থক্য থাকলেও তিনি তা উপস্থাপন করতেন শালিন ভাষায়।
প্রতি বছরের মত আজও মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মীরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার কবর জিয়ারত, পবিত্র কুরআন খতম ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে দিনটি তার স্বরণে অতিবাহিত করবে ‘মাহফুজ উল্লাহ স্মৃতি পরিষদ ‘।
স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠানতা সভাপতি ও বাংলা পোস্টের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার তার বাণীতে
বলেন, মাহফুজউল্লাহ সংগ্রাম করেছেন, যুদ্ধ করেছেন, কিন্তু আত্মসমর্পণ করেনি।
তিনি বলেন, মাহফুজউল্লাহর একটা গুণ ছিল মিলে-মিশে কাজ করার। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। মাহফুজউল্লাহর মতো উদার মনের মানুষ আজ সমাজে বিরল। তার মৃত্যুতে দলমত নির্বিশেষে সবাই শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন। তার কারণ একটাই এই সমাজ যেমন বিভক্ত, তেমন সাংবাদিকরাও বিভক্ত, এই বিভক্ত সমাজে মাহফুজউল্লাহ ছিলেন দিক-নির্দেশক। সে নির্ভিক, স্পষ্টবাদী, সৎ সাংবাদিক ছিলেন, তার তুলনা হয় না।
মোহাম্মদ অলিদ তালুকদার- বলেন, মাহফুজউল্লাহ আজীবন একটি গণতান্ত্রিক, দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আজীবন নিজের অবস্থানে থেকেই লড়াই করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্রে যখন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ একে অপরকে ধ্বংস করতে ব্যস্ত সেই মুহুর্তে রাজনৈতিক শিষ্টারের অন্যতম দৃষ্টান্ত মাহফুজউল্লাহর ইন্তেকাল আমাদের সমাজের বড় ধরনের শূণ্যতা সৃষ্টি করলো। এই শূণ্যতা পূরণ অনৈক সময়ের প্রয়োজন হবে। বর্তমান দুঃসময়ে তার মতো একজন ঋজু ও দৃঢ়চেতা মানুষের বড়ই প্রয়োজন ছিল।
/এটিএম
Leave a reply