বহুল আলোচিত শিখ বিরোধী দাঙ্গা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে ফের তোলপাড় ভারতের রাজনীতি। ১৯৮৪ সালের ওই ঘটনায় কংগ্রেসের সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য সজ্জন কুমারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন দেশটির আদালত। বিজেপি’র দাবি কংগ্রেসের ষড়যন্ত্রেই ওই দাঙ্গা বাঁধে; যার জন্য দায়ী গান্ধী পরিবার। পাল্টা অভিযোগে কংগ্রেস বলছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে রায়কে ইস্যু বানিয়ে সুযোগ নেয়ার অপচেষ্টা করছে ক্ষমতাসীন দল।
১৯৮৪ সালে নিজ দেহরক্ষির গুলিতে নিহত হন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সেখান থেকেই শুরু শিখ বিরোধী দাঙ্গা। রক্তক্ষয়ী সেই সংঘাতে প্রাণ হারায় ৩ হাজারের বেশি শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ।
রায়ের বিষয়ে ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, দাঙ্গায় যে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে, এর দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারে না গান্ধী পরিবার। কংগ্রেসের ষড়যন্ত্রেই যে এই দাঙ্গা বাঁধানো হয়েছিলো, সেটা এতদিন পর এসে প্রমাণ হলো।
এর আগে নিম্ন আদালতের রায়ে সব অভিযোগ থেকে খালাশ পেয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা ও সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য সজ্জন কুমার। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর, রাজনৈতিক সুযোগ নিতেই দাঙ্গার রায়কে ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।
কংগ্রেস নেতা সুনিল জাখার বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। অথচ নিজেদের ফায়দা লুটতে এই রায়ের সাথে কংগ্রেসকে জড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। গুজরাট দাঙ্গার মূল উস্কানি দাতা এখন প্রধানমন্ত্রী, এটা কিন্তু কেউ ভোলেনি।
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সজ্জন কুমারকে। এছাড়া দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও দেয়া হয়েছে ৭৩ বছর বয়সী এ নেতার ওপর।
Leave a reply