Site icon Jamuna Television

প্রবাসী ও অভিবাসী পরিষদের ১৯ দফা দাবি

প্রবাসীদের নানা সমস্যা সমাধানে ১৯ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশি প্রবাসী ও অভিবাসী পরিষদ। দুপুরের রাজধানীর প্রেস ক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।

তিনি বলেন, বিদেশে আটক ও কাগজপত্র জটিলতায় শ্রমিকদের দ্রুত মুক্তির জন্য কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ করতে হবে। চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলের শিকার প্রবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্প্যাশাল ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানান তারা।

এছাড়া, বিদেশি দূতাবাসগুলোতে দুর্নীতিমুক্ত ও প্রবাসীবান্ধব সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিদেশে মৃত্যুবরণকারী প্রবাসীদের মরদেহ ফিরিয়ে আনার সরকারি সহায়তা দেয়ার কথাও জানান তারা।

দাবিগুলো হলো
১. প্রতিটি প্রবাসীদের পেনশনের আওতায় আনতে হবে।
২. প্রবাসীর মৃত্যুর পর এককালীন অর্থ প্রদান করতে হবে।
৩. প্রবাসীর লাশ সরকারি খরচে তার পরিবারকে হস্তান্তর করতে হবে।
৪. প্রত্যেক প্রবাসীকে লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আওতায় আনতে হবে। প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের জন্য পেনসন
স্কিম চালু করতে হবে, যাতে বৃদ্ধ বয়সে তাদের জীবনযাপন করা সহজ হয়।
৫. প্রত্যেক প্রবাসীকে আইনি সহায়তা ও নিরাপত্তা দিতে হবে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দেশে ফিরে আসার সুযোগ করে দিতে হবে।
৬. প্রবাসী পাসপোর্ট নবায়ন হয়রারি বন্ধ করতে হবে।
৭. প্রবাসীদের জন্য দূতাবাসে সহায়তা জোরদার করতে হবে।
৮. দূতাবাসের মাধ্যমে সেই দেশের আইন অনুযায়ী তাৎক্ষণিক প্রবাসীদের সেবা প্রদান করতে হবে।

৯. প্রবাসী যে এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ গমন করিবে, চুক্তি অনুযায়ী চাকরি দিতে ব্যর্থ হলে তার ক্ষতি পূরণ দিতে হবে। প্রবাসীরা যদি কোনো এজেন্সির মাধ্যমে প্রতারিত হলে চুক্তি অনুযায়ী তার ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
১০. প্রবাসীকে সরকারি খরচে ও স্বল্প মুনাফা ব্যাংক ঋণ প্রদান সহ স্বাবলম্বী করতে সহায়তা করবে।
১১: প্রবাসীদের ভোটের অধিকার ও অনলাইনে ভোট প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
১২: প্রবাস থেকে আসার পর এয়ারপোর্টে হয়রানি, অপমান, লাঞ্ছিত শিকার হয়ে থাকে তা বন্ধ করতে হবে। কোন প্রবাসী ৫/১০ বছর ও তার প্রবাস করে আসার পর চোরাচালান বলে অভিযোগ হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
১৩: প্রবাসীদের ভোটার আইডি কার্ড ও জন্ম নিবন্ধনের সংশোধনীয় সরকারি খরচে ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সরকারি খরচের পাশাপাশি
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কর্তৃক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

১৪: পেশা “প্রবাসী” প্রবাসীদের নথি ভুক্ত করতে হবে।
১৫: প্রবাসী নিয়োগ কর্মকর্তা দ্বারা প্রতারিত হলে দূতাবাসের মাধ্যমে আইনি সহায়তা প্রদান করতে হবে। বেশি ভাগ এম্বাসিযর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্বারাই প্রতারিত হয়ে থাকে অনেক প্রবাসী।
১৬: অনেক প্রবাসীদের সম্পদ বেদখল হয়ে যাচ্ছে, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থে বেদখল হয়ে যাওয়া সম্পদ প্রবাসীদের কাছে ফিরিয়ে দিতে ও মিথ্যা মামলা হয়রানি অর্থ-আত্মসাৎ সহ নানান ষড়যন্ত্র শিকার হয়ে থাকে। সরকারের কাছে আবেদন খতিয়ে দেখা।
১৭: প্রবাসীদের পাসপোর্ট নবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কর্তৃক হয়রানি সহ রোহিঙ্গা ইস্যু দিয়ে পাসপোর্ট আটকিয়ে রাখা হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
১৮: অনেক প্রবাসীর নামে মিথ্যা মামলা ও হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারে ভূমিকা পালন করতে হবে।
১৯: দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ প্রবাসীদের প্রতি  সহনশীল হতে হবে।

/এএস

Exit mobile version