ভোট একটি উৎসব, নাগরিক অধিকার আদায়ের আয়োজন। যা আসে ৫ বছর পর পর। যেমনটি আসছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। ধরুন ভোটের দিন অনেক উৎসাহ নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে অবশেষে নিজের পছন্দের প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানানোর সুযোগ পেলেন; তখন যদি দেখেন আপনার ভোটটি আগেই কেউ দিয়ে গেছে। অর্থাৎ জাল ভোট দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে কী করবেন?
বিফল মনোরথ হতে মানা করছেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, অন্য কেউ জাল ভোট দিলেও আসল ভোটার ফের ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন। বলেন, কেন্দ্রে গিয়ে যদি দেখেন, কেউ আপনার ভোট দিয়ে দিয়েছেন, তা হলে হতাশ হবেন না। তিনি প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে আবারও ব্যালট পেপার চাইতে পারবেন।
নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করলে একজনের ভোট আরেকজনের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। তারপরও এ রকম ঘটনা ঘটে গেলে আইনে এর প্রতিকার রাখা আছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোট দেয়া হয়ে গেলেও প্রকৃত ভোটারের ভোট দেয়ার বিধান আছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইনে। যদি প্রিজাইডিং অফিসার সন্তুষ্ট হন যে, অভিযোগকারী নিজের ভোট নিজে দেননি, তিনি সত্যিকার অর্থে ভোটার, তার ভোটটা অন্য কেউ দিয়ে গেছে, তবে তিনি কোন বিনা বাক্যব্যায়ে নতুন করে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দেবেন। এটি করা হলে নির্বাচনকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না।
এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল একাদশ অধ্যায়ে ভোটদান প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিতে ‘টেন্ডার্ড ব্যালট পেপার’ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে-‘কোনো ব্যক্তি ব্যালট পেপারের জন্য আবেদন করে অবগত হন যে, অন্য কোনো ব্যক্তি ইতিপূর্বে নিজেকে ওই ভোটার হিসেবে ঘোষণা করে আবেদনকারীর নামে ভোট প্রদান করেছেন, তা হলে তিনি অন্য যে কোনো ভোটারের মতো একই পদ্ধতিতে ব্যালট পেপার পাবেন।’
‘এ ব্যালট পেপার ‘টেন্ডার্ড ব্যালট পেপার’ নামে অভিহিত হবে। টেন্ডার্ড ব্যালট পেপার ব্যালট বাক্সে না ফেলে প্রিসাইডিং অফিসারকে দিতে হবে। প্রিসাইডিং অফিসার ওই ব্যক্তির নাম ও ভোটার ক্রমিক নং ফরম-১৪-তে লিপিবদ্ধ করবেন এবং তাতে ভোটারের স্বাক্ষর বা টিপসই গ্রহণ করবেন। অতঃপর চিহ্নিত ব্যালট পেপার প্যাকেট-৬ এ রেখে দেবেন। উল্লেখ্য, টেন্ডার্ড ব্যালট পেপার গণনা করা যাবে না।’
Leave a reply